পদ্মাসেতুর কাজ ৪৩% শেষ হয়েছে:ওবায়দুল

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৪৩ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার ১২ মে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দোগাছির পদ্মাসেতুর সার্ভিস এরিয়া-১ এর সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি একথা জানান।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর পিলারে (পিআর) সুপার স্ট্রাকচার আগামী জুন থেকে স্থাপন শুরু হবে। এপর্যন্ত সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৪৩ শতাংশ। পদ্মা সেতু কোন দলের সেতু নয়। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসীম সাহসের ফসল। এটি ১৬ কোটি মানুষ সম্পদ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সেতু জাতীয় অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে। সেতু চালু হলে জিডিপি ১ শতাংশেরও বেশী বেড়ে যাবে। পদ্মা সেতু ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে চালু করার টার্গেট নিয়ে এগুচ্ছে। বৈচিত্র্যপূর্ণ পদ্মার গভীরতা, মাটির প্রকৃতিসহ নানা কারণে ২/৩ মাস টানাপোড়েনের মধ্যে ছিল এই সেতুর কাজ। এখন সব সমস্যা অতিক্রম করে মূল কাজ সুপার স্ট্রাকচার-স্প্যান স্থাপনে এগিয়ে যাচ্ছে।

মূল সেতুর ৪২টি পিলারে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ২০টি ইতিমধ্যে তৈরী হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ২০টি স্প্যান পিলারের উপর স্থাপন করতে-করতে বাকী ২১টি স্প্যানও তৈরী হয়ে যাবে। পদ্মা সেতুর পাইল স্থাপনে বিশ্বের সবচেয়ে বেশী ৩ হাজার কিলো জুল ক্ষমতার হ্যামার চলতি মাসেই মাওয়ায় এসে পৌঁছবে। এটি বর্তমানে শ্রীলংঙ্কা হতে সমুদ্র পথে বাংলাদেশের পথে রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কথায় নয় কাজে এগিয়ে যেতে চাই। সেতু নিয়ে অহেতুক রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।

এ সময়ে মূল সেতুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজের র‌্যান শাওলিন, নদী শাসন কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চীনের সিনো হাইড্রো কোম্পানির মি. লুক, পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (নদী শাসন) শারফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী (পুনবার্সন) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী (সড়ক) সৈয়দ রজব আলী, নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।