পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করবে বাংলাদেশ

জাতিসংঘের পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে ‘ট্রিটি অন দ্য প্রহিবিটেশন অব নিউক্লিয়ার ওয়েপনস’ প্রস্তাবের খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আগামী অধিবেশনে সুবিধাজনক সময় চুক্তিতে সই করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে স্বাক্ষরের জন্য ‘এয়ার সার্ভিসেস এগ্রিমেন্ট -এর খসড়ায় অনুমোদ দেয়া হয়েছে বৈঠকে। ১৯৮৮ সালের ২৩ মার্চ থেকে দুই দেশের মধ্যে এক চুক্তির মাধ্যমে বিমান চলাচল শুরু হয়, যা এখনো অব্যাহত আছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী দুই দেশের সম্মতিতে কিছু সংযোজন-বিয়োজন করা হয়। ২০০৬, ২০০৭, ২০১১ সালে চুক্তি সংশোধন করা হয়। ২০১৭ সালের প্রস্তাবিত সংশোধন অনুযায়ী, চুক্তিটি বাংলা ও আরবি ভাষায় অনুবাদ করা হবে এবং দুই দেশের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থার বাইরেও অন্য সংস্থাগুলোকে বিমান চলাচলে অনুমতি দিতে পারবে কর্তৃপক্ষ।

চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে যেকোনো দেশ চুক্তি বাতিল করতে পারবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, দুই দেশের বিমানমন্ত্রী সংশোধিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদকে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে শফিউল আলম বলেন, ‘অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের এসডিজি বাস্তবায়নের কর্মপরিকল্পনা ভালো। ১৭টি লক্ষ্য সম্পর্কে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। বাংলাদেশ এসডিজি অর্জনে ভালো করবো। কারণ এ সম্পর্কে পৃথক একটি বই প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। যা অন্য কোরেনা দেশ করেনি।

সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি পৃথক দপ্তর করেছে। যেখানে চিফ কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করা হয়েছে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘সভায় কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বারের মৃত্যুতে একটি শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।’

আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭