পশ্চিম ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে স্পেনে করোনা আক্রান্ত ১০ লাখ ছাড়াল

পশ্চিম ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে বুধবার স্পেনে মহামারি করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।

সাড়ে ৪ কোটির অধিক জনসংখ্যার দেশটি বর্তমানে নতুন করে করোনার বিস্তাররোধে লড়াই করছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এখন পর্যন্ত দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ৫ হাজার ২৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৬ হাজার ৯৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটিতে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৪ হাজার ৩৬৬ জন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশ দেশেই করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর বাস্তব সংখ্যা আরও অনেক বেশি। অপর্যাপ্ত পরীক্ষা, উপসর্গহনী অবস্থার কারণে কর্তৃপক্ষ প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করতে পারছে না।

এদিকে ভাইরাস সম্পর্কে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালভাদোর ইলা ও অঞ্চলগুলোর স্বাস্থ্য প্রধানরা। রাতের পার্টিগুলোতে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

এর আগে মঙ্গলবার ইলা বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে খুব কঠিন সময় আসছে।’

পশ্চিম ইউরোপের দেশ ফ্রান্সও বেশি পিছিয়ে নেই। ৯ লাখ ৩০ হাজার করোনা রোগী রয়েছে সেখানে।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য বলছে, বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ১১ লাখ ছাড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১১ লাখ ৪৮ হাজার ৪২ জনে।

জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ১১ লাখ ৩০ হাজার ৪০৫ জন। পাশাপাশি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮০ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৩ ব্যক্তি।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। মোট করোনা আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি এই তিন দেশে।

সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে আমেরিকা। এখনও ব্যাপক হারে সেখানে করোনার বিস্তার হচ্ছে। দ্রুত আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুও থেমে নেই।

দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৮৩ লাখ ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং ২ লাখ ২২ হাজার ৬৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

এদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৭৬ লাখ ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৯১৪ জন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৫২ লাখ ৯৮ হাজারেরও বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪০৩ জনের।