পাকিস্তানী অপপ্রচার বিষয়ে সংসদে আলোচনা হবে

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সম্পর্কে পাকিস্তানী নেতিবাচক প্রচারণা নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে শুক্রবার (১০ মার্চ) বিশাল বাংলা প্রকাশনী সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। বিশাল বাংলা প্রকাশনী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও গণহত্যা সম্পর্কে পাকিস্তানের প্রচারণা নিয়ে আগামীকাল (১১ মার্চ, শনিবার) জাতীয় সংসদে আলোচনা হবে। মুক্তিযুদ্ধে দুই লক্ষ মা-বোনোর ইজ্জত হারানোর কথা আমাদের নয়, এটি আন্তর্জাতিক হিসেব।’ অনুষ্ঠানে সাহিত্য সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘সাহিত্য-সংস্কৃতি জীবনের উপাদান। এর বাইরে জীবন নেই। বাংলা একাডেমীর বই মেলা প্রকাশনা শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

বিশাল বাংলা প্রকাশনী এ অনুষ্ঠানে এবারের বই মেলায় প্রকাশিত বই এর মধ্যে একুশটি বই এর লেখকদের পুরস্কার ও সম্মাননা দেয়।

লেখকদের মধ্যে সেলিনা হোসেন (মুক্তিযুদ্ধের বাছাই গল্প), কাজী রোজী (বাতাসের বৈঠা), ফরিদা ইয়াসমিন (ইতিহাসের আয়নায় বঙ্গবন্ধু), হাসান হাফিজ (আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি), মোস্তাফা কামাল (অগ্নিকণ্যা), মাসুদ আহমেদ (রৌদ্রবেলা ও ঝরা ফুল), আনজীর লিটন (ও ছড়া তুই যাস কই), গোলাম কুদ্দুস (কালের ধ্বনি), ফকির আলমগীর (পপ গানের একাল সেকাল), ড. শাহাদাত হোসেন (বাংলা নাটক: উনিশ থেকে ‍বিশে), কবরী (স্মৃতিটুকু থাক), তারিক আনাম খান (নাটক সমগ্র), মো. নূরুল আলম (বঙ্গবন্ধুর দাফন, প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ), সামিয়া রহমান (আধাখিঁচড়ে গল্প), পলাশ মাহবুব (লজিক লাবু), আনিস আলমগীর (ধর্ম নিয়ে ব্যবসা), হেলেনা জাহাঙ্গীর (সূর্যর প্রতীক্ষায়), গুলতেকিন খান (দূর দ্রাঘিমায়), ড. নাসরীন জেবিন (মোহিনীর জন্য), নওশাদ জামিল (লঙ্কাপুরীর দিনরাত্রি) ও শামীম হোসেনকে (ডুমুরের আয়ু) পুরস্কৃত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন-চিত্রনায়িকা কবরী, পপ শিল্পী লেখক ফকির আলমগীর প্রমূখ।

সভাপতিত্ব করেন সাবেক তথ্য সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছুটি ফাঁদের পরিচালক শহীদুল হক খান।

 

সুত্র: দ্য রিপোর্ট