পাট ও পাটজাত পণ্যে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৩.২৩%

২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৮২ কোটি ৬৪ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ৬ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা। যা এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তুলনায় এ খাতের পণ্য রপ্তানি আয় ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়েছে।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মে মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫১ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।

এতে আরও জানানো হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৮ কোটি ১৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৮২ কোটি ৬৪ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। সদ্য সমাপ্ত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তুলনায় এ খাতের রপ্তানি আয় ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের এ সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৭২ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।

ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এ সময়ে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ২৫ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়েছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে ৪৭ কোটি ৮৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ সময়ে আয় হয়েছে ৫১ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ১২ দশমিক ৯১ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে ৪৫ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছিল।

চলতি বছরের জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় ১৫ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১০ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

ইপিবির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পাটের অন্যান্য দ্রব্য রপ্তানিতে ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ দশমিক ৩২ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের রপ্তানি আয় ১৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমেছে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/১২ মে,২০১৭