পাবনায় সুচিত্রার বাড়িতে দর্শনার্থীর ঢল

আজকের বাজার ডেস্ক: অবশেষে দখলদার জামায়াতীদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে বাংলার কিংবদন্তী নায়িকা সুচিত্রা সেনের বাড়ি এখন দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত। পাবনার মানুষ এখন দাবি করছেন, আদুরে সেই রমা শুধু তাদের। তার উপর কারও কোনও অধিকার নেই। ভালবাসার শক্তি যে এমনই।
সুচিত্রার প্রথম আলো দেখা থেকে শুরু করে শৈশব, কৈশোর কেটেছে এখানে। শুধু বাড়ি নয়, পাড়া-প্রতিবেশীর চোখের মণি ছিলেন তিনি। স্কুলের বন্ধুরা রমা বলতে পাগল ছিল। সামান্য জ্বরেও প্রবল উৎকণ্ঠা ছিল সহপাঠি, খেলার সাথিদের।
আজ সুচিত্রা সেন নেই। তার নিত্যসঙ্গীরাও চলে গেছেন। মমতাজের তাজমহলের মতো সুচিত্রার স্মৃতিনিয়ে পড়ে আছে তার বাড়ি। পাবনার হেমসাগর লেনে সুচিত্রা সেনের এই জন্মভিটা। সময়ের দাবীতে আজ দর্শনার্থীরা উপচে পড়ছে। কেনই বা পড়বে না? দীর্ঘ দিন বেদখল ছিল। আজ সেই মহানায়িকার আলয় যেন বাঁধন মুক্ত হয়ে সবার আনন্দ আলোয় উদ্বাসিত। এখন সুচিত্রার বাড়িতে ফিরে এসেছে সেই হারানো সুর।
সুচিত্রা থাকলে বয়স হত ৮৬। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল তার জন্ম। জন্মদিনে বিশাল কেক কাটা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনের উৎসাহে এই উৎসবের আয়োজন। এ শুভদিনে পাবনার মানুষ চেয়েছিলেন সুচিত্রা কন্যা মুনমুন, দুই নাতনি রাইমা আর রিয়াকে। ব্যাস্ততার কারণে তারা আসতে পারেননি।
সুচিত্রা সেনের মতোই তার বাড়িটা, মধ্যবিত্তের বাসস্থান। নির্মাণে সেরকম নৈপুণ্য নেই। নেই চোখে পড়ার মতো আহামরি সেরকম কোন স্থাপানা। তাতে কি ? বাড়িটা তো আছে, বাড়িটা যে সুচিত্রা সেনের বলে কথা। এখন কীভাবে এ বাড়িকে আরও মনোরম করা যায় শিক্ষাবিদ, শিল্পী, সংস্কৃতি কর্মী, সাহিত্যিকরা সেটাই ভাবছেন।
২০১৪-র ১৬ জুলাই সুচিত্রার বাড়িতে সংগ্রহশালা নির্মাণের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। প্রশাসনিক জটিলতায় এতোদিন কাজ থেমে ছিল। সেই সুযোগে দখল নিয়েছিল সমাজবিরোধীরা। কী ভাবে বাড়িটি সবার কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায় যায় তা নিয়ে ভাবছেন কতৃপক্ষ। কলকাতা থেকে তার ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী আনার চেষ্টা চলছে। সুচিত্রা সেন শুধু বাঙালির গর্ব নয়। তিনি বিশ্বনন্দিত। যেখানে তার সূচনা আর উত্থান সে জায়গার অবহেলা কখনই আমাদের কাম্য নয়।
সুত্র : আনন্দবাজার
আজকের বাজার: সালি/এল কে/ ২৪ এপ্রিল ২০১৭