পাসের হার কমেছে ৭.৯৪ শতাংশ

মাধ্যমিক (এসএসসি ও সমমান) পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হারের সঙ্গে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে।

এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দশ বোর্ডে গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত বছর গড় পাসের হার ছিলো ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমেছে।

মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো এক লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের পর ৪ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০১৭ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৬২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৬৮৮ জন ছাত্র ও ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৪ জন ছাত্রী।

তিনি বলেন, ‘আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮১ দশমিক ২১ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৬ দশমিক ২০ ও কারিগরি বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ।’

গত বছর আট বোর্ডে পাসের হার ছিলো ৮৮ দশমিক ৭০, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ২২ ও কারিগরি বোর্ডে ৮৩ দশমিক ১১ শতাংশ ছিল।

বিদেশ কেন্দ্রে পাসের হার ৯৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। এছাড়া এবার ২ হাজার ২৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছে এবং ৯৩ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেনি বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের ৮টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এসএসসিতে এবার ১৪ লাখ ২২ হাজার ৩৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। পাস করেছে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৮ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৯৩ হাজার ৫১ জন। কারিগরি বোর্ডে এক লাখ ৬ হাজার ২৩৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৮৩ হাজার ৬০৩ জন।

আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭ হাজার ৯৬৪ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে ২ হাজার ৬১০ ও কারিগরি বোর্ডে ৪ হাজার ১৮৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

গত বছর এসএসসিতে ৯৬ হাজার ৭৬৯ জন, দাখিলে ৫ হাজার ৮৯৫ ও কারিগরিতে ৭ হাজার ৯৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

গত কয়েক বছরের মতো এবারও এসএসসিতে পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৭০ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে বরাবরের মতো শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বোর্ড। এ বোর্ডে ৪৯ হাজার ৪৮১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

গত বছরের মতো এবারও সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়নি।

গত ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। তাত্ত্বিক বা লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ৫ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ মার্চ।

৫ থেকে ১১ মে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন

এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আগামী ৫ থেকে ১১ মে পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল দিয়ে ফল যাচাই করার আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে আরএসসি (জঝঈ) লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা হারে ফি দিতে হবে। ফিরতি এসএমএস এ আবেদন ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে।

আবেদনে সম্মত থাকলে ম্যাসেজে গিয়ে আরএসসি (জঝঈ) লিখে স্পেস দিয়ে ইয়েস (ণঊঝ) লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে নিজ মোবাইল ফোন নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

যেসব বিষয়ে দুটি পত্র (বাংলা ও ইংরেজি) রয়েছে সেসব বিষয়ে একটি বিষয় কোডের (বাংলার জন্য ১০১, ইংরেজির জন্য ১০৭) বিপরীতে দুটি পত্রের জন্য আবেদন হিসেবে গণ্য হবে এবং আবেদন ফি হিসেবে ২৫০ টাকা লাগবে। একই এসএমএসের মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। এক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে কমা (,) দিয়ে লিখতে হবে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/৪ মে,২০১৭