পিরোজপুরে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে

জেলায় চলতি আমন চাষ মৌসুমে ৬৪ হাজার ১৯০ হেক্টরে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ শেষে দেখা গেছে এ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ৬৪ হাজার ৪৮৪ হেক্টরে আমন চাষ করা হয়েছে। একই সাথে আমন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৮ হাজার ২৯২ মেট্রিক টন ধার্য করা হলেও চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩০ মেঃ টন চাল।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলার ৭ উপজেলার প্রতিটির আমন চাষের ও আমন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও জেলার ৫২টি ইউনিয়ন ও ৪ পৌরসভায় একযোগে বীজতলা তৈরির কাজ এবং আমন চারা রোপণের কাজ একযোগে চাষীরা সম্পন্ন করেছে ।এছাড়া প্রতিটি পৌর এলাকা ও উপজেলায় লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অধিক হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এ পর্যন্ত সবকিছুই চাষীদের অনুক’লে রয়েছে বলে পিরোজপুর পৌর এলাকার লখাকাঠী গ্রামের আমন ধান চাষী ইউসুফ আলী জানান। পিরোজপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় জানান, উন্নত মানের ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ৫ একর আয়তনের ২১টি প্রদশর্নী প্লট তৈরি করা হয়েছে।

সরকার এসব প্রদশর্নী প্লটের জন্য বীজ, সার, ওষুধ বিনামূল্যে চাষীদের সহায়তা করছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ৩৭টি কৃষক প্রশিক্ষণ স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। আমনের বীজ বপণ থেকে শুরু করে ধান মাড়াই পর্যন্ত এসব স্কুলের প্রত্যেকটিতে ৫০জন কৃষাণ কৃষাণী হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। প্রতি সপ্তাহে ২ দিন আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাষ্টার ট্রেনি এবং কৃষি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা। কৃষাণ কৃষাণীদের সুবিধামত সময় এসমস্ত প্রশিক্ষণ ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং এদের প্রতিদিন ৭০ টাকা প্রশিক্ষণ গ্রহণ ভাতা দেওয়া হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণের জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা অরুন রায় জানান এ জেলায় ইতিমধ্যেই চাষে ৯০ ভাগ এবং ধান মাড়াইতে ৯৫ভাগ যান্ত্রিকীকরণ হয়েছে। খুব দ্রুতই শতভাগ কৃষক এসব পদ্ধতি ব্যবহার করবে। জেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক আমন চাষীদের পরামর্শ দিচ্ছেন। সার বীজ সহজলভ্য হওয়ায় এবং এ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক আশা করছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই।