পিরোজপুরে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত

‘‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায়, দেশ গড়ব সমাজসেবায়’’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে পিরোজপুরে আজ জাতীয় সমাজসেবা দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও উপকারভোগী নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক- সাঈফ মিজান স্মৃতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের পিরোজপুরের উপ-পরিচালক মোঃ ইকবাল কবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুনিরা পারভীন। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইয়াসিন আলী, সিনিয়র সাংবাদিক গৌতম চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক মাহমুদ হোসেন শুকুর, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মাসুদ আহমেদ, জাতীয় মহিলা সংস্থার পিরোজপুরের চেয়ারম্যান রুহিয়া বেগম হাসি, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভানেত্রী হোসনে আরা বেগম, ডাকদিয়ে যাই এর সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদের ১৯৯৭-১৯৯৮ অর্থ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ৪ লক্ষ বয়স্ক ব্যক্তিকে মাসিক ১শত টাকা ভাতা প্রদান করে সর্বপ্রথম এ ভাতা প্রদান কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে দেশের ১ কোটি ৮ লক্ষাধিক নারী-পুরুষ-শিশু বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষা ভাতা, বেদে জনগোষ্ঠীর ভাতা, সমাজে অনগ্রসরমান জনগোষ্ঠীর জন্য ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা পাচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের সনাক্ত করে তালিকাভুক্ত করার জরিপ ২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৭ লক্ষাধিক প্রতিবন্ধীর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। লক্ষাধিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্তরে, মাধ্যমিক স্তরে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এবং উচ্চতর স্তরে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ২০ লক্ষ ৮ হাজার অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীকে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ৪৯ লক্ষ জন হতে ৫৭ লক্ষজনে উন্নীত করা হয়েছে। দেশের সকল উপজেলায় ভাতা প্রাপ্তির যোগ্য শতভাগ মানুষকে বিভিন্ন ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচির আওতায় সুদমুক্ত ঋণ হিসেবে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম এবং দগ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন তহবিলে এ পর্যন্ত ৬ শত ৫২ কোটি টাকা ৩৬ লক্ষজনের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। পল্লী এলাকায় নারীদের ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি প্রদান এবং স্বর্নিভর হওয়ার জন্য মাতৃকেন্দ্র গঠন করা হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে ৬ লক্ষ অসহায়, দুঃস্থ রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসা সহায়তার পাশাপাশি ২০ কোটি টাকার পুষ্টিকর খাবার, মাছ ও হ্যান্ডস্যানিটাইজারসহ আনুসাঙ্গিক সহায়তা করা হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা মহামারীর সময়ে সবধরনের আর্থিক সাহায্য প্রদান সংকুচিত করা হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সহায়তা প্রদানের পরিমাণ বাড়িয়েছে।