‘পুলিশকে শিশুবান্ধব হতে হবে’

পথশিশু সুরক্ষায় প্রশাসনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, পুলিশকে শিশুবান্ধব হতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রয়োজন।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুরের রেলওয়ে অফিসার্স রেস্টহাউস সভাকক্ষে পথশিশু পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ছবিটি ফেসবুক থেকে নেওয়া।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক পুলিশ কর্মকর্তা পথশিশুদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। তাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। পথশিশুরা পত্রিকা বিক্রি করলে অনেক সময় দেখা যায় টাকা না দিয়েই পুলিশ তাদের কাছ থেকে পত্রিকা ছিনিয়ে নেয়।

সবাইকে শিশুবান্ধব হতে হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমাজের প্রতিটি মানুষকে শিশুদের প্রতি দায়িত্ববান হতে হবে। পথশিশু না বলে এদেরকে সুবিধাবঞ্চিত শিশু বলার আহ্বান্ও জানান তিনি।

মাদক চক্রের সঙ্গে শিশুরা জড়িয়ে পড়ছে উল্লেখ করে এ ক্ষেত্রে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে আরও বেশি সহযোগিতা করার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পথশিশুর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আমির হোসেন জানান, দেশে মোট ৬০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। যাদের মধ্যে ৫০ ভাগই শিশু।
অনুষ্ঠানে অপরাজেয় বাংলার নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা ভানু বলেন, আমরা জরিপ চালিয়ে দেখেছি, বাংলাদেশে সিঙ্গেল মাদার হ্ওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় কয়েকজন সুবিধাবঞ্চিত শিশু তাদের জীবনের করুণ গল্প তুলে ধরেন। যারা এখন অপরাজেয় বাংলার তত্বাবধানে লালিত-পালিত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম। সভায় পথশিশু পুনর্বাসন প্রোগ্রাম বিষয়ক (scrp.gov.bd) একটি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক রুহুল আমিনসহ পথশিশুদের নিয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।