পূর্ব জেরুজালেমে উপাসনালয়ে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর হামলায় ৭ জন নিহত

পূর্ব জেরুজালেমের একটি উপাসনালয়ের বাইরে ফিলিস্তিনি এক বন্দুকধারীর হামলায় সাতজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব সাবাথ চলাকালে সেখানে এ হামলা চালানো হয়। বিগত কয়েক বছরে ইসরাইলিদের লক্ষ্য করে চালানো ভয়াবহ হামলাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম ছিল। এতে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে সেনা অভিযানে নয়জন নিহত এবং গাজা থেকে চালানো রকেট হামলার জবাবে ইসরাইলের বিমান হামলাসহ ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার একদিন পর এ বন্দুক হামলা চালানো হলো।
ইসরাইলের পুলিশ প্রধান কোবি শাবতাই নেভে ইয়াকভ এলাকায় ‘চালানো বন্দুক হামলাকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের মোকাবেলা করা সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাগুলোর মধ্যে অন্যতম’ হিসেবে অভিহিত করেন। আন্তর্জাতিক হলোকাস্ট স্মরণ দিবসে এ হামলা চালানো হয়।
পুলিশ বলেছে, ‘স্থানীয় সময় রাত ৮টা ১৫মিনিটের দিকে একজন সন্ত্রাসী নেভ ইয়াকভ বুলেভার্ডের একটি উপাসনালয়ে পৌঁছায় এবং সেখানে বেশ কয়েকজনকে লক্ষ্য করে সে বেপরোয়া গুলি চালায়।’
পুলিশ জানায়, সেখানে ‘সন্ত্রাসী হামলার ফলে সাতজন বেসামরিক লোককে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আরো তিনজন বেসামরিক লোক আহত হয়েছে।’
তারা জানায়, ওই বন্দুকধারী একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও দ্রুত তার গমন পথ অনুসরণ করা হয় এবং সে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়।
পুলিশ বন্দুকধারীকে পূর্ব জেরুজালেমের একজন ফিলিস্তিনি বাসিন্দা হিসেবে শনাক্ত করে। ১৯৬৭ সালে ৬ ছয়দিনের যুদ্ধের পর ইসরাইলিরা জেরুজালেম দখল করে নেয়।
প্রবীণ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার এক মাস পর এ হামলা চালানো হয় এবং সেখানে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে সহিসংতা ক্রমেই বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।