পৃথিবীর বুকে মঙ্গলের পরিবেশ

পৃথিবীর প্রতিবেশী মঙ্গল গ্রহ নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ এখন তুঙ্গে। শক্তিধর প্রায় প্রতিটি দেশই লাল গ্রহে মানুষ্য বসবাসের জল্পনা-কল্পনা শুরু করে দিয়েছেন। গবেষণা ও চেষ্টাও চলছে! বেশ কিছুদিন ধরে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং’ও বলছেন পৃথিবীর আয়ু আর বেশি নেই।

মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারছেন, জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ও জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে যত শীঘ্রই সম্ভব অন্য গ্রহে মানব বসতি গড়ে তোলা দরকার। প্রতিবেশী মঙ্গল গ্রহে এখন পর্যন্ত প্রাণের অকাট্য প্রমাণ পাওয়া না গেলেও বিজ্ঞানীরা এখন মানছেন, সেখানকার আবহাওয়া পৃথিবীবাসীর জন্য অনুকূলই হবে। সে কারণে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর প্রক্রিয়াও প্রায় সম্পন্ন।

কিন্তু মঙ্গলে টিকে থাকার জন্য আগাম পরিবেশগত প্রস্তুতি তো দরকার! আর সে কারণেই পৃথিবীর বুকেই এক টুকরো মঙ্গল তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা রোবটযান পাঠিয়ে মঙ্গলের অনেক তথ্যই এখন জেনে গেছেন। তাদের হিসেবে, মঙ্গলের কোথাও কোথাও ভূমির তাপমাত্রা প্রায় ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হবে। সেখানে উদ্ভিদের কোনো অস্তিত্ব নেই, পানি থাকলেও তা রয়েছে মাটির তলে নয়তো বরফ আকারে।

এমন পরিস্থিতিতে মানব জাতি কিভাবে বসতি গড়ে তুলবে সেখানে? ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানায়, সেই প্রস্তুতির জন্যই বিশ্বের একদল বিজ্ঞানী ওমানের ধোফার মরুভূমিতে মঙ্গলের কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে বেশ কিছু পরীক্ষা চালাচ্ছেন।

প্রায় ২৫টি দেশ থেকে আসা বিজ্ঞানীরা সেখানে এক মাস থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির ১ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত তারা মঙ্গলের কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে সেখানে গবেষণা করছেন।

বিজ্ঞানীদের দাবি, ধোফার মরু অঞ্চলটির ভূ-প্রকৃতি অনেকটাই মঙ্গলের মতো। বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পে সেখানে মোট ১৯টি পরীক্ষা চালানো হবে।

বিজ্ঞানীরা আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ মঙ্গলে মানুষ নামানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছেন। প্রস্তুতি যেভাবে নেয়া হচ্ছে, তাতে মঙ্গল জয়ের স্বপ্ন সফল হবে বলেই বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের।

আজকের বাজার :এএল/আরএম/১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮