প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত আমির খসরু

‘ইতিহাস বিকৃতি’ নিয়ে নাগরিক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঠিক বলেছেন, ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না। আমি উনার সাথে সম্পূর্ণভাবে একমত।’

১৯ নভেম্বর রোববার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্র, বিপন্ন দেশ: তোমার অপেক্ষায় বাংলাদেশ’বিষয়ক আলোচনা সভাটির আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে নাগরিক কমিটি আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে আর যেন ইতিহাস বিকৃতির সুযোগ না পায় সেজন্য বাংলাদেশের মানুষকে জাগ্রত হতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে আমির খসরু বলেন, ‘তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত যে প্রেক্ষাপট সেটা মুছে ফেলা যাবে না। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধর ঘোষণা যে দিয়েছেন সেটা মুছে ফেলা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশে বহুদলীয় শাসন বাদ দিয়ে যে একদলীয় শাসন বাকশাল গঠন করা হয়েছিল সেটাও মুছে ফেলা যাবে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নষ্ট করে সব গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল সেটাও মুছে ফেলা যাবে না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন সেটাও মুছে ফেলা যাবে না। সংবাদ পত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিয়েছেন সেটাও মুছে ফেলা যাবে না।’

খসরু বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন সেটাও মুছে ফেলা যাবে না। এরপর বাংলাদেশের জনগণ এক সাথে হয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা করেছে সেটাও মুছে ফেলা যাবে না। সেটাকে বাতিল করে আজকে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতা দখল করে বসে আছে সেটাও মুছে ফেলা যাবে না। গুম খুনের রাজনীতি চলছে, মানুষর ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে সেটাও মুছে ফেলা যাবে না।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘যখনই নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে হয় তখনই সংবিধানের দোহাই দেয়া হয়, যে এটাতো সংবিধানে নেই। আইনে নেই এটা করা যাবে না। তাহলে আমাকে বলতে হয় আইনে তো বাকশাল ছিল না। সেনাবাহিনী আইনশৃংখলা বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ছিল সেটাও আপনারা বাতিল করে দিয়েছেন। সংবিধানের এক তৃতীয় অংশ সংশোধন করা যাবে না সেই ব্যবস্থা আপনারা করেছেন। যা পৃথিবীর কোথাও নেই। সংবিধান তো মানুষের জন্য, মানুষ তো সংবিধানের জন্য নয়। তাই মানুষের জন্য যতবার প্রয়োজন ততবারই সংবিধান সংশোধন করতে হবে।’

আয়োজক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার এর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ১৯ নভেম্বর ২০১৭