প্রাথমিকে ডিসেম্বরের মধ্যে থাকছে না কনো জরাজীর্ণ ভবন

সারাদেশে সাড়ে ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের মধ্যে কয়েকহাজার জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে। এগুলোর তালিকা করে তা সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এ সংস্কার কাজ শেষ করা হবে।

জানা গেছে, দেশে ৬৫ হাজার ৫৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন রয়েছে। এরমধ্যে ৩৬ হাজার ১৬৫টি পুরনো। এর মধ্যে অনেকগুলোই জরাজীর্ণ ভবন। ইত্তোমধ্যে এসব ভবনের তালিকাও করা হয়েছে।

ডিপিই সূত্র জানায়, জরাজীর্ণ ও ভবন না থাকা স্কুলের সংখ্যা চিহ্নিত করা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত কাজের অংশ। এ লক্ষ্যে ‘প্রাথমিক শিক্ষা সম্পদ ব্যবস্থাপনা তথ্য ব্যবস্থা’ (পিইপিএমআইএস) নামে একটি সফটওয়্যারও আছে।

পিইপিএমআইএস নামের ওই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পরে সেই আলোকে সংস্কার বা নতুন ভবন তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিদায়ী মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আর কোনো জরাজীর্ণ ভবন থাকবে না। তিনি আরো বলেন, যেখানে যে ধরনের সংস্কার প্রয়োজন, সেখানে তা করা হবে।

জানা গেছে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংস্কার বা উন্নয়নের জন্য সরকার আটটি খাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থী অনুপাতে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। খাতগুলো হচ্ছে :বিদ্যালয়ের রুটিন মেরামতের জন্য বছরে ৪০ হাজার টাকা, শ্রেণিকক্ষ সজ্জিত করার জন্য ১০ হাজার টাকা, ওয়াশব্লক পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ২০ হাজার টাকা, মেরামতের জন্য দেড় থেকে ২ লাখ টাকা, বই বিতরণে ৪০০ টাকা, বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের জন্য ২ হাজার টাকা, জাতীয় শোক দিবস পালন অনুষ্ঠানে ২ হাজার টাকা, বিবিধ খাতে ৮ হাজার টাকা, পিইডিপি-৪ থেকে ৫০ ও ৭০ হাজার টাকা, রাজস্ব খাত থেকে দেড় লাখ টাকা এবং ক্ষুদ্র মেরামতকাজের জন্য প্রতি বছর ২ লাখ টাকা।
তথ্য-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান