প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ১০ এপ্রিল

প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আগামী ১০ এপ্রিল মঙ্গলবার। এদিন কোম্পানিসহ ২ আসামীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হবে। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার আদালতে ৪ নং আসামী এইচআরসি গ্রুপের কর্ণধার সায়ীদ হোসেন চৌধুরী নিজের পক্ষে সাক্ষ্য দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাসুদ রানা খান তাকে জেরা করেন। এসময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

দুপুরে শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তিনি এই সাফাই সাক্ষ্য দেন। এসময় আদালতে বিচারক আকবর আলী শেখের সামনে দাঁড়িয়ে সায়ীদ হোসেন চৌধুরী জানান, আমার অন্যান্য ব্যবসা নিয়ে আমি খুব ব্যস্ত থাকি। প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের একজন স্লিপিং পার্টনার আমি। আমি কোনো দিন মুনাফা কিংবা কোনো সুবিধা নেইনি। আমি যেহেতু একজন তরুণ সফল ব্যবসায়ী ছিলাম। এই জন্য তারা আমার নাম ব্যবহার করে সুবিধা নিতে চেয়েছিলো।

আমি শুধু ২৫ লাখ টাকার শেয়ার কিনি। তবে আর কোনো খোঁজ রাখি না। সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারি আমার নামে মামলা হয়েছে। আমি নিজ উদ্যোগে জানার চেষ্টা করি; তবে আমার বিরুদ্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কিংবা খোদ প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজে কোনো অভিযোগ আসেনি।

তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. হারুন-অর-রশিদের মেয়ের সঙ্গে পরিচালক অনু জায়গীদারের বিয়ে হয়। তবে পরে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটলে অনুকে শাস্তি দিতে মামলা করা হয়। সে মামলায় আমাকেও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জড়ানো হয়েছে। আমি নির্দোষ।

এ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাসুদ রানা অর্থসূচককে বলেন, আজ আদালতে ৪ নং আসামী সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি কোম্পানির মুনাফাভোগী ছিলেন বলে দাবি করলেও আদালতে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। আগামী ১০ এপ্রিল এই মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেছে আদালত।

তিনি আরও বলেন, আদালতে অপর ২ আসামী প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান ও পরিচালক অনু জায়গীদার হাইকোর্টে মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে স্থগিতাদেশ নিয়েছে। গত ১ মার্চ আদালতে ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের নামে ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। আলোচ্য সময়ে তারা মিতা টেক্সটাইল, প্রাইম টেক্সটাইল, বাটা সুজ ও বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন করেছেন।

যার মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মার ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৫টি, মিতা টেক্সটাইল লিমিটেডের ১ লাখ ১১ হাজার ৫৬০টি, প্রাইম টেক্সটাইল লিমিটেডের ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫০টি, বাটা সু লিমিটেডের ৫ লাখ ৫৩ হাজার ১০০টি শেয়ার ছিল।

অভিযোগ, আসামিরা ওই সব কোম্পানির শেয়ার অপারেট করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি, অপকার ও অনিষ্ঠ সাধন করেছেন।

সুত্র: অর্থসূচক