প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ১৪ মে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান ১৪ মে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগে তিনি নির্বাচন অনুষ্টানের এ ঘোষণা দিলেন। বিরোধিরা এখনও তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ প্রার্থীর সন্ধান করছে।
এরদোয়ানের দুই দশকের শাসনামলে এ নির্বাচনে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। তাঁর শাসনামল অর্থনৈতিক উত্থান, বিশাল উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধ, যুদ্ধ ও একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থান দেখেছে।
তুরস্কের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮ জুন হওয়ার কথা ছিল। তবে এরদোয়ান এই সপ্তাহান্তে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় নগরী বুরসায় তরুণদের সাথে তার এক বৈঠকের ভিডিওতে বলেছেন, আমি আমার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচনের তারিখ ১৪ মে এগিয়ে নিয়ে আসব।
এরদোয়ান তার অফিস থেকে শেয়ার করা ভিডিও সম্প্রচারে বলেন, এটি আগাম নির্বাচন নয় বরং নির্বাচনকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্কুল পরীক্ষার সময়সূচী যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য তার জুনিয়র ডানপন্থী জোট অংশীদারের সাথে সময়সূচীর সাথে সামঞ্জস্য রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।
নির্বাচনী প্রচারণা ১০মার্চ শুরু হওয়ার কথা, যা তুরস্কের বিরোধি দল গুলোর জন্য যথেষ্ট সময় নয় বলে দাবি করছেন তারা। বিরোধীরা কয়েক মাস ধরে নির্বাচনে এরদোয়ানকে চ্যালেঞ্জ করতে একক প্রার্থীর বিষয়ে একমত হওয়ার চেষ্টা করছে।
তুরস্কের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও দুর্বল মুদ্রা তাদের প্রচারণার পক্ষে সহায়ক হতে পারে, তবে অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ এরদোয়নের পক্ষে চলে যাবে।
বিরোধী দলের একটি সূত্র চলতি সপ্তাহে এএফপি’কে জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে তাদের যৌথ প্রার্থী  ঘোষণা করা হবে।
জনমত জরিপে ইস্তাম্বুলের জনপ্রিয় বিরোধী মেয়র একরেম ইমামোগ্লু বলেছেন, এরদোয়ানকে নির্বাচনী দৌড়ে পরাজিত করতে পারেন। তিনিই ২০১৯ সালের স্থানীয় নির্বাচনে এরদোয়ানের ক্ষমতাসীন দলের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়েছিলেন।
গত মাসে ইস্তাম্বুলের একটি আদালত ৫২ বছর বয়সী ইমামোগ্লুকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করলে তিনি আপিল করেন এবং কৌশলগতভাবে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।