প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়নে চাই সহনীয় কর হার

বিশ্বে প্লাস্টিকের সম্ভাবনা নতুন কিছু নয়। দিনে দিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় তালিকায় শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে প্লাস্টিক শিল্প। বাংলাদেশের প্লাস্টিক শিল্পও পিছিয়ে নেই। দেশের শীর্ষস্থানীয় প্লাস্টিক কোম্পানি ডব্লিউ অ্যান্ড ডব্লিউ। কোম্পানিটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। তিনি বাংলাদেশের প্লাস্টিক শিল্পের নানা দিক নিয়ে দৈনিক আজকের বাজার ও এবি টিভি’র সাথে আলোকপাত করেছেন। আলোকপাতের অনুলিখন আজকের বাজারের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশের প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রির সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে শুরুতেই বলতে চাই, আমাদের দেশেই শুধু না, সারা পৃথিবীতেই প্লাস্টিকের সম্ভাবনা নতুন কিছু নয়। আমরা সব সময় এসব কথা বলে থাকি। কিছুদিন আগে আমাদের আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ফেয়ার হয়ে গেল। এই ফেয়ারে গত বছরের তুলনায় দেশি-বিদেশি মিলিয়ে আগের তুলনায় প্রায় ২২ শতাংশের বেশি অংশগ্রহণ করেছিল। এখানে বিদেশিরা এসেছে ‘র’ ম্যাটেরিয়ালস ও ইক্যুইপমেন্টের জন্য, আর বাংলাদেশিরা এসেছে নতুন নতুন প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানার জন্য।

বিনিয়োগ সমস্যা
যারা আমাদের এখানে ইনভেস্ট করতে আসে, তারা দু-তিনটি ইমপ্রেশন নিয়ে এখান থেকে চলে যায়। প্রথমত, তারা যখন এয়ারপোর্টে আসে; দ্বিতীয়ত, যখন তারা ট্যাক্সি করে যায়। আর তৃতীয়ত, তারা যখন হোটেলে ওঠে। তখনই তারা সিদ্ধান্ত নেয় এ দেশে থাকবে কি থাকবে না। আমাদের দেশে কোরিয়া ও তাইওয়ানের ইনভেস্টররা যখন আসে, তখন তারা অন অ্যারাইভেল ভিসা নিয়ে আসে। তাইওয়ানে আমাদের কোনো অ্যাম্বাসি নেই। ফলে তারা এয়ারপোর্টে এসে ভিসা নেয়। আমাদের বিমানবন্দরে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার কমে তারা এই ভিসা পায় না। ফলে বের হতে পারে না। এত দূর থেকে তারা টায়ার্ড হয়ে এসে বিমানবন্দরেই যদি ৪ ঘণ্টা বসে থাকতে হয়, তাহলে তাদের এখানে ইনভেস্ট করার আগ্রহ আর থাকবে?

অন অ্যারাইভাল ভিসা শুধু বাংলাদেশে নয়, প্রচুর দেশে দেয়া হয়। তো সেই সব দেশে অল্প সময়ের ভেতরে তারা এই ভিসা দিয়ে দেয়। আমি মনে করি, দ্রুততম সময়ে এই ভিসা পেতে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া উচিত। ই-টেকনোলজির মাধ্যমে কীভাবে বিদেশে এই প্রক্রিয়াটা দ্রুত হয়, সেই টেকনোলজি আমাদের ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়া আমাদের লাগেজ বা মালামাল পাওয়ার ক্ষেত্রে লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। এখন এয়ারপোর্টের কয়েকটা বিষয় যদি সহজ করতে পারি, তবে আমাদের প্রাথমিক খারাপ ইমপ্রেশন থেকে আমারা বাঁচতে পারি।

দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশে বিদ্যুতের সমস্যা কোনো নির্দিষ্ট সময়ের না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের মধ্যে পড়ে থাকতে হয়। এ কারণে আমাদের উৎপাদন কমে যায়, পাশাপাশি উৎপাদনের খরচও অনেক বেড়ে যায়। আমাদের যদি বিদ্যুৎ না থাকার সময়টুকু আগে থেকে বলে দেওয়া হয়, তবে উৎপাদন শিডিউল আমরা সেভাবেই করতে পারতাম। বিদ্যুৎ যদি সারা দিনও না থাকে, আমরা আগে থেকে জানতে পারলে ওই দিন কোনো প্রডাকশনে যাব না। আমি পরে উৎপাদনের কাজ করতাম। এখানে সরকারের একটি দক্ষ ম্যানেজমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে। তবে আশার কথা, আগের থেকে অনেক ইমপ্রুভ করেছে সরকারের এটিসহ অনেক সেবা খাত। উদাহরণ দিয়ে বলি, আমি যে প্রোডাক্টটা করি, তার নাম অলোঅলো বটম ফয়েল। এটা মূলত তিন-চারটা জিনিস দিয়ে তৈরি হয়। আমি যে ‘র’ ম্যাটেরিয়ালগুলো ইমপোর্ট করছি, সেটা কিন্তু অন্য কোড দিয়ে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো ইমপোর্ট করছে ৫ পার্সেন্ট ট্যাক্সে।

অথচ আমার ‘র’ ম্যাটেরিয়ালগুলো কোনোটা ১০ আবার কোনোটা ১৫ পার্সেন্ট দিয়ে ইমপোর্ট করতে হচ্ছে। অনুরোধ করি, আমাদের ক্ষেত্রেও ৫ ভাগ ট্যাক্স করে দেন। যদি ফার্মাসিউটিক্যাল খাতকে বিশেষ তালিকায় রাখতে চান, রাখেন। আমার পিভিসি লাইলনসহ অন্যান্য ‘র’ ম্যাটেরিয়ালও ৫ শতাংশ ট্যাক্স করে দেন। যারা ফিনিশড প্রোডাক্ট আনে, তারা সব মিলিয়ে ৫ পর্সেন্ট ট্যাক্স দেয়। আমাদেরও এমন সুবিধা দিলে এখানে একটা কম্পিটিশনের জায়গা তৈরি হবে। এখন আসলে শিল্পবান্ধব পরিবেশ বজায় থাকছে না। এ বিষয়ে আমরা প্রতি বছর বাজেটে প্রস্তাব দিচ্ছি, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। এবারও রেডি করেছি। এখানে অনেক টাকা ইনভেস্টমেন্ট, অনেক লোকের কর্মসংস্থানের জায়গা, এটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য অবশ্যই এটা করতে হবে।

দেশকে এগিয়ে নিতে প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রির ভূমিকা
আমার মনে হয়, রপ্তানি বা স্থানীয়ভাবে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রেডিমেড গার্মেন্টের পরেই এই ইন্ডাস্ট্রির ভূমিকা। রপ্তানি ও স্থানীয় দুভাবেই। আমরা ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা সরকারকে ট্যাক্স দিই। এ ছাড়া আমরা লোকালি যখন প্রোডাক্ট দিই, তখন কিন্তু আমরা অনেক রকম ট্যাক্স দিই সরকারকে। কিন্তু যখন এক্সপোর্ট হয়, তখন লাগে না। সে ক্ষেত্রে গার্মেন্টের সাথে আমাদের তুলনা চলবে না।

পণ্যের ধরন মূলত তিন-চার রকমের প্রোডাক্ট দেশে তৈরি হয়। দৈনন্দিন জীবনে চলতে যা লাগে, তার সব তৈরির পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাক্টও বানাই। ফার্মাসিউটিক্যালের সব ধরনের প্রডাক্ট আমরা বানাই। সিরিঞ্জ থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছু। ফুড প্যাকেজিংয়ের প্রায় সব। বিস্কুট, চানাচুরÑ কী না। এসব প্রোডাক্ট হাইজিনিক ওয়েতে কিচেন পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমরাই নিচ্ছি। লবণের কথাই যদি ধরেন, একসময় চটের ব্যাগে পরিবহন করতে হতো। পানি পানি হয়ে যেত, ফলে অস্বাস্থ্যকরভাবে যেত ভোক্তাদের কাছে। কিন্তু এখন প্লাস্টিক প্যাকেজিংয়ের কারণে এই প্যাকেট অনেক সুন্দর হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো খাবার স্বাস্থ্যকরভাবে প্যাকেজিংয়ের জন্য প্লাস্টিক ব্যবহার হচ্ছে।

প্লাস্টিক না পাট?
প্রত্যেকের আলাদা আলাদা জায়গা আছে। কারের জায়গায় ট্রাক, ট্রাকের জায়গায় কার দিলে হবে না। পাট আমাদের নিজেদের প্রডাক্ট। আমি প্লাস্টিক প্রোডাক্ট করি বলে পাটের বিরুদ্ধে নই। পাট দিয়ে আসলে ভ্যালু অ্যাডেড প্রোডাক্ট বানাতে হবে, নরমাল প্রোডাক্ট বানিয়ে বিক্রি করতে পারবেন না। এর বিভিন্ন উপাদানের যা দাম, এর যে প্রসেসড কস্ট, এতে যে দাম পড়বে, তা দিয়ে পোষাতে পারবেন না; শুধু গানিব্যাগ বানিয়ে টিকতে পারবেন না। ৭ টাকার জিনিস ৭০ টাকা দিয়ে রিপ্লেস করতে পারবেন না। আপনি দেখেন সার ইমপোর্ট করতেন, সেখানে এলসিতে পরিষ্কার করে লেখা ছিল, এখন না, ২০ বছর আগে আমি নিজের চোখে দেখেছি, এটা হতে হবে পিপি ওভেন ব্যাগ। কেন? পিপি ওভেন ব্যাগ ছাড়া সারের সেই কোয়ালিটি থাকবে না।

সিমেন্ট ও চিনির ক্ষেত্রেও তাই। লবণও বাদ যায় না। কতগুলো জিনিস আছে, তার জায়গা তাকে দিতে হবে। আপনি জোর করে কিছু করতে পারবেন না। এটা এমনি আসেনি। চামড়ার জুতা চামড়ার জুতাই, সিনথেটিকের জুতা সিনথেটিক। দুটি আলাদা। এই জিনিসটা বুঝতে হবে। আপনি জানেন, অভিজাত দামি গাড়ি, মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউর সিট কভার কিন্তু আমাদের দেশের পাটের ফাইবার দিয়েই তৈরি হয়। কেননা, আমাদের মাটি ছাড়া এত ভালো পাট আর কোথাও হয় না। ভারতেও না। ভারত, জার্মানি, ইংল্যান্ডÑ এসব নিয়ে তারা নিজেরা তৈরি করছে। কারণ এ ধরনের যন্ত্রপাতি কিংবা প্রযুক্তি কেনোটাই আমাদের নেই। আমরা কিন্তু বলতে পারি না, তোমরা নিয়ে গিয়ে বানাও কেন? আমাদের দেশেই বানাতে পারো। আমরা এদিকে যেতে পারি। এবং এগুলো হতে হবে ভ্যালু অ্যাডেড। গানিব্যাগ, পেঁয়াজের ব্যাগ এসব দিয়ে আপনি লাভের মুখ দেখতে পারবেন না।

প্লাস্টিক কতটা পরিবেশবান্ধব?
প্রথম কথা, প্লাস্টিক পরিবেশবান্ধব। এটা বাদ দিতে পারবেন না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আপনাকে প্লাস্টিকের সঙ্গে থাকতে হয়। আপনি এটাকে কীভাবে বাদ দিবেন?। আমি এর উৎপাদক, কেউ প্যাকেটজাত করছে, কেউ পরিবেশক, কেউ বিক্রি করছে, কেউ ব্যবহার কারছে। তিন-চার স্তরের মানুষ এর সঙ্গে আছে। এখন আপনি কীভাবে ব্যবহার করবেন, তা আপনার ওপর নির্ভর করবে। কলা খেয়ে খোসা রাস্তায় ফেললে তা থেকে কেউ আছাড় খেয়ে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। তাই বলে কি কলাগাছ কেটে ফেলবেন? নাকি বলতে পারবেন, কলার উৎপাদন করতে পারবেন না। নাকি কলার ছাল বিন করবেন? এই জিনিসটা করার জন্য যে সেন্স অব ডেভেলপমেন্ট দরকার, তা আমাদের গ্রো করতে হবে। জেব্রা ক্রসিং বাদ দিয়ে রাস্তা দিয়ে পার হওয়ার অভ্যাস আমাদের বদলাতে হবে। এই অভ্যাস থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য যা যা করা দরকার তা করতে হবে, সবাই মিলে করতে হবে। কারও একার ওপর চাপিয়ে দিলে হবে না। আপনি জুট দিয়ে বাসায় দুধ নিতে পারছেন না; লবণ, বিস্কুট কিছুই নিতে পারবেন না। এই সত্য মানতে হবে।

সবচেয়ে ভালো খবর দিই। আপনি রাস্তায় চলতে চলতে দেখবেন বিনের মধ্যে প্রচুর পলিথিন পড়ে আছে, আমাদের খারাপ লাগে। শেষ পর্যন্ত কী হবে এগুলোর? এর কিন্তু সমাধান বেরিয়ে গেছে। ভারতে শুরু হয়েছে। পেট্রল যখন পিউরিফায়েড হয়, তখন লাস্ট ধাপ হচ্ছে বিটুমিন আর প্রথম ‘র’ ম্যাটেরিয়াল প্লাস্টিকে ব্যবহার হয়। থার্মোপ্লাস্টিক মোল্ডিং কম্পাউন্ড। এখন ভারতে হচ্ছে কী, তারা বিনে থাকা সমস্ত প্লাস্টিক সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়ে একসঙ্গে ক্রাশারে ক্রাশ করছে। ক্রাশ করে আধাআধি বিটুমিন ও পোড়া প্লাস্টিক রাস্তা বানানোর কাজে ব্যবহার করছে। এতে রাস্তা ব্যবহার মেয়াদ অনেক বেড়ে যায়। সমাধান এখানেই। কলকাতায় শুরু হয়েছে। কিন্তু কে এই কাজ করবে, কাউকে না কাউকে করতে হবে। বুঝতে হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভ্যালু অ্যাড করতে না পারলে এই ব্যবসায় কেউই আসবে না। নোংরা ব্যবসায় কেউ যেতে চায় না।

ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে কী করতে হবে। দু-তিনটা উদাহরণ দিই। প্রথমেই ছাড় দিতে হবে যে যেসব বর্জ্য কালেকশন করবেন, তার কোনো ভ্যাট-ট্যাক্স থাকতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, যারা এসব দিয়ে যন্ত্রপাতি বানাবেন, ব্যবহার করবেন, তাঁদেরও ট্যাক্স-ভ্যাটে ছাড় দিতে হবে; থাইল্যান্ডে এই আইন আছে। আপনাকে তো এনকারেজ করতে হবে। আমাদের দেশে রিসাইক্লিং প্রোডাক্ট এত বাজারজাত হচ্ছে না কেন? বেসিক জায়গায় যেতে হবে। আপনাকে যদি একটি রিসাইক্লিং প্রোডাক্ট বিক্রি করি, তাহলে ভার্জিন ম্যাটেরিয়ালের চেয়ে তা ৫০ ভাগ সস্তা হতে হবে, তাহলেই তো আপনি নেবেন, তা নাহলে ঝামেলা নেবেন কেন? আসলে আপনাকে এটার ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে হবে।

আমি থাইল্যান্ডে দেখেছি, এক ভদ্রলোকের বিরাট প্রাসাদের মতো বাসা। সেই বাসায় জাম্বু প্লাস্টিক ব্যাগ বানানো হয়। যারা ডজনে ডজনে জিনিস বিক্রি করে, তারা এটা ব্যবহার করে। কয়েকটা রং মিশিয়ে একেকটা অ™ভুত সুন্দর সুন্দর রঙের ব্যাগ। ভদ্রলোকের কিন্তু গাড়ির ব্যবসা প্রধান। এই ব্যবসায় টাকা আছে, কিন্তু আপনাকে পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, আপনি যদি ক্লিন প্রসেসে যান, তবে আপনাকে পরিষ্কার করে নিতে হবে; আপনার ওয়াশিং প্ল্যান্ট লাগবে।

এখন ওয়াশিং বা রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট হতে হবে নদীর পাশে। তবে আমাদের প্লাস্টিক প্ল্যান্টে যেহেতু রং নেই, তাই এতে পরিবেশদূষণ নেই; গার্মেন্টসের মতো নয় আমাদেরটা। এখানে কাদার পরিমাণ বেশি থাকে। তো এসবে বাড়তি সুবিধা না পেলে কে যাবে এই ব্যবসায়?

আমার অভিজ্ঞতা থেকে বললাম কথাগুলো। প্লাস কিছু কিছু ডেভেলপমেন্ট এসেছে দুনিয়ায়। এইচডিপি যায় আলাদা, এইচডিপি আলাদা, পিপি আলাদা তো মেয়েরা বাছাই করে সর্টিং করে। যদি ৫ ভাগও অন্য কিছু যায়, একটার মধ্যে আরেকটা ঢুকে গেলে পুরোটাই নষ্ট। আমি চীনের একটি মেলায় এমন একটি যন্ত্র দেখেছি, যাতে প্রতিটা উপকরণ আলাদা আলাদা বাছাই হতে পারে; যন্ত্রই আলাদা করে বাছাই করে দেয়।

কী করতে হবে
পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুব ভালোভাবে করতে হবে। এবং যার যার দায়িত্বে তা করতে হবে। পৌর কর্তৃপক্ষ, এলজিআরডি, ব্যবহারকারী সবাই মিলে একটা প্যাকেজের মতো করে করতে হবে। অন্যান্য দেশ যেভাবে করেছে, আমাদেরও একই রকম করে করতে হবে, এখানে নতুন কিছু নেই।

আসছে বাজেটে প্রত্যাশা
বাজেটের আগে কী আশা করি? আসলে অনেক দাবির মধ্যে একটিই আমাদের প্রধান, আর তা হলো আমাদের মেনুফ্যাকচারিংয়ের জন্য যেসব ‘র’ ম্যাটেরিয়ালস আমদানি করতে হয়, তার ডিউটি সহনীয় পর্যায়ে রাখা। আমরা চাইছি এটি শতকরা ১০ ভাগ থেকে কমিয়ে ৫ ভাগে আনা হোক। আরও দরকার বিদ্যুতের ভালো ব্যবস্থাপনা এবং সরকার থেকে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজটা ভালো হোক।

ফেরদৌস ওয়াহিদ
প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা, ডব্লিউ অ্যান্ড ডব্লিউ কোম্পানি লিমিটেড