ফেলানী হত্যা: ভারতের আদালতে রিটের শুনানি শুরু

কুড়িগ্রাম সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যা মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রিটের শুনানি শুরু হয়েছে।

গত ১৪ ফেব্রয়ারি শুক্রবার যৌথ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে ১৮ মার্চ।

ফেলানী হত্যার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার না পাওয়া হতাশ ছিল ফেলানীর পরিবার। রিটের শুনানি শুরু হওয়ায় ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা করছে ফেলানীর পরিবার।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরার সময় ১৪ বছর বয়সী কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত‌্যা করে বিএসএফ। কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকে তার মরদেহ। এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ হত‌্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে। কিন্তু ভারতের সামরিক আদালত ফেলানী হত্যায় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমীয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে। এতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত।

২০১৫ সালের আগস্টে কলকাতার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ মাসুমের সম্পাদক কীরিটি রায়ের সহায়তায় ফেলানীর বাবা মো. নুর ইসলাম ফেলানী হত্যা মামলার রায় পুনঃবিবেচনার জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করেন। এতে বিবাদী করা হয় ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব, বিএসএফের মহাপরিচালক এবং সিবিইর পরিচালককে। এতে ফেলানীর বাবাকে বাংলাদেশের পক্ষে সহায়তা করে আইন সালিশ কেন্দ্র ও ভারতের পক্ষে মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম)।

ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, আমার মেয়েকে বিনা অপরাধে বিএসএফের সদস‌্য অমীয় ঘোষ হত্যা করেছে। দীর্ঘদিন হয়ে গেল বিচার পাইনি। তবে নতুন করে শুনানি শুরু হওয়ায় আমি আশাবাদী, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ন্যায়বিচার করবে এবং তাড়াতাড়ি বিচারকাজ শেষ হবে।

কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে রিটের শুনানি শুরু হওয়ায় আমরা আশাবাদী। এবার মনে হয়, ফেলানী হত্যার বিচার হবে। দ্রুত ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার হলে উভয় দেশের জন্য মঙ্গল হবে।

আজকের বাজার/এমএইচ