“বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে দেশকে সোনার বাংলা গড়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী”

জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একে একে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
তারা বলেন, উন্নয়নের এ গতি অব্যাহত থাকলে ’৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে বিশ্বে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াত পারবে।
আজ ছিল রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার পঞ্চম দিন।
গত ১৮ জানুয়ারি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন। গত ১৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব সমর্থন করেন।
আজ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা উত্তর টেবিলে উপস্থাপন ও ৭১ বিধিতে নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
আজ আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের এ, কে, এম রহমতুল্লাহ, মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী, সাইমুম সারোয়ার কমল, হাবিবে মিল্লাত, তানভির শাকিল জয়, আহসানুল ইসলাম টিটো, মমতাজ বেগম, বেগম জাকিয়া তাবাসসুম, বেগম হোসনে আরা, জাসদের শিরীন আক্তার, জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক, মুনির উদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির রুমীন ফারহানা।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একদা ভিক্ষুকের জাতি হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশ সমৃদ্ধ দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কর্মসূচির বাস্তবায়ন ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
তারা বলেন, শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের ফলে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে। আর আন্তর্জাতিকভাবে এটার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
তারা বলেন, দৃঢ় নেতৃত্বে অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ করোনা টিকা প্রদান করতে পারছে। প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ভার্চুয়ালি এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা কথা। ইতোমধ্যে ২০ লাখ ডোজ করোনা টিকা ভারত থেকে উপহার স্বরূপ পাওয়া গেছে।
সরকারি দলের সদস্যরা বাস্তবায়নাধীন ২৪টি মেঘা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ সব প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশের অর্থনীতি বদলে যাবে। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিনত হবে।
তারা বলেন, গত এক যুগে এ সরকারের আমলে উন্নয়নের সকল সূচক বেড়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে শতকরা ৭ ভাগ বজায় রাখা সম্ভব হয়। এমনকি মহামারি করোনাকালে বিশ্বের অনেক দেশের প্রবৃদ্ধি যেখানে নেতিবাচক, সেখানে বাংলাদেশের অর্জন ৫.২০ ভাগ। এটা এ অঞ্চলের দেশ সমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ। তাছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। রেমিট্যান্স প্রেরণ হারও স্বাভাবিক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে এটা সম্ভব হয়েছে।