বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি: ঢাকায় থামলো চট্টগ্রাম

টানা চার ম্যাচ জয়ের পর অবশেষে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে হারের স্বাদ পেল লিটন-সৌম্যের গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। আজ টুর্নামেন্টর ১৩তম দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ৭ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রামকে। এই জয়ের ৬ ম্যাচে ৩টি করে জয় ও হারে ৬ পয়েন্ট ঢাকার। ৫ ম্যাচে ৪টি জয় ও ১টি হারে ৮ পয়েন্ট চট্টগ্রামের।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।
ব্যাট হাতে নেমে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা। দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ১৩ ও সাব্বির রহমান ৭ রান করেন। তিন নম্বরে নামা তানজিদ হাসান রানের খাতা খুলতেই পারেননি।
শুরুতেই চাপে পড়ে যাওয়া দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন মুশফিক ও ইয়াসির আলি। সফল হয়েছেন তারা। সর্তকতার সাথে খেলে দলের স্কোর শতরানের কোটা অতিক্রম করেন মুশফিক-ইয়াসির।
১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে এই জুটি ভাঙ্গেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী মুস্তাফিজুর রহমান। ৭২ বলে ৮৬ রানের জুটি গড়েন মুশফিক ও ইয়াসির। ৩৮ বলে ৩৪ রান অবদান রেখে ফিরেন ইয়াসির।
তবে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করেন ৪২তম বলে টুর্নামেন্টের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেয়া মুশফিক। ৫০ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ৭৩ রান করেন তিনি। ফলে ৪ উইকেটে ১৪৫ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা। চট্টগ্রামের নাহিদুল-শরিফুল-রাকিবুল-মুস্তাফিজ ১টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৪৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ওপেনার সৌম্য সরকারকে হারায় চট্টগ্রাম। রানের খাতা খোলার আগেই পেসার রুবেল হোসেনের বলে আউট হন সৌম্য।
এরপর মাহমুদুল হাসান জয়ের সাথে ৪৭ ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের সাথে ৪৮ রান যোগ করে থামেন আরেক ওপেনার লিটন। দলীয় ৪৮ রানে জয়কে ও ৯৬ রানে লিটনকে বিদায় করেন ঢাকার পেসার রবিউল ইসলাম রবি। জয় ২৬ ও লিটন ৪৭ রান করেন। তার ৩৯ বলের ইনিংসে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো।
লিটনের যখন আউট হন তখন জিততে রাজশাহীর প্রয়োজন ছিলো ৬ ওভারে ৫০ রান। হাতে উইকেট ছিলো ৭টি।
কিন্তু ঢাকার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংএ ১৭ ওভার শেষে আস্কিং রান রেট বেড়ে যায় চট্টগ্রামের। ২১ রান করা মিঠুনকে হারানোর পর ৩ ওভারে ৩৩ রানের দরকার পড়ে তাদের। মুক্তার আলির করা ১৮তম ওভারে শামসুর রহমান ও জিয়াউর রহমান আউট হন। শামসুর ১০ রান করে মুক্তারের শিকার হন। আর ১ রান করে রান আউট হন জিয়াউর। একই ওভারের শেষ দুই বলে দু’টি চার মারেন নাহিদুল ইসলাম। তাই ২ ওভারে ২৩ রানের সমীকরন পায় চট্টগ্রাম।
১৯তম ওভারে মোসাদ্দেককে তুলে নিয়ে ৭ রান দেন রুবেল। এমন অবস্থায় শেষ ৬ বলে জিততে ১৬ রান দরকার পড়ে চট্টগ্রামের। ঐ ওভারের প্রথম বলে নাহিদুলকে শিকার করেন মুক্তার। তবে পরের বলে ছক্কা আদায় করেন মুস্তাফিজ। পরের দু’বলে ২ রান চট্টগ্রাম। পঞ্চম বলে ফিজকে থামান মুক্তার। আর শেষ বলে কোন রান না দিয়ে চট্টগ্রামের প্রথম হার নিশ্চিত করেন মুক্তার। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৮ রান করে ম্যাচ হারে চট্টগ্রাম। ঢাকার মুক্তার ৩টি, রুবেল-রবি ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ঢাকার মুশফিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বেক্সিমকো ঢাকা : ১৪৫/৪, ২০ ওভার (মুশফিক ৭৩*, ইয়াসির ৩৪, নাহিদুল ১/১৬)।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১৩৮/৯, ২০ ওভার (লিটন ৪৭, জয় ২৬, মুক্তার ৩/৩৯)।
ফল : বেক্সিমকো ঢাকা ৭ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : মুশফিকুর রহিম (বেক্সিমকো ঢাকা)।