জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ “বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধু এবং জুলিও কুরি” শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করে। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী, নির্মাতা জনাব রোকেয়া প্রাচী, মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালযয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: আবুল হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির সম্মানিত সদস্য, বিশিষ্ট সমাজসেবক জনাব আব্দুর রহমান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন জুলিও কুরি পদক উদযাপন কমিটির আহবায়ক সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক মোঃ গোলাম রসুল (সানি)।সভাপতিত্ব করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর তাহমিনা হক। বঙ্গবন্ধুর পদক প্রাপ্তির প্রসঙ্গে তুলে ধরে তার বর্ণাঢ্য জীবনের বিভিন্ন দিক আলোচনাক্রমে মুখ্য আলোচক প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন বলেন”বিশ্ব শান্তিতে বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ ছাত্রাবস্থা থেকেই। পরে রাজনীতির মাঠে পুরোপুরি নেমে তিনি এদিকে আরও বেশি নজর দেন।” অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রোকেয়া প্রাচী উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ” তিনি তোমাদের মত বয়স থেকেই পরের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন।
অন্যের স্বার্থে তার ছাত্রত্ব খুইয়েছেন।দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের ১৪ টি বছর কারাগারে ছিলেন। এমন নিঃস্বার্থ রাজনীতিবিদ বর্তমানে বিরল। তোমরা আজকে এখান থেকে একটি শিক্ষা নিয়ে যাও চলার পথে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে কোনদিন ভুলবে না, তাঁর আদর্শকে পাথেয় করে রাখবে। ” বিশিষ্ট সমাজসেবক, কলেজ গভর্ণিং বডির সম্মানিত সদস্য অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জনাব আব্দুর রহমান জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির পিছনে বেগম মুজিবের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, “বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে সমর্থন যুগিয়েছেন অন্যথায় বঙ্গবন্ধুর আন্তর্জাতিক পদক পাওয়া সম্ভব হতো কিনা তা বলা দুষ্কর। তোমরা যারা আজকে ছাত্রী ভবিষ্যতে তোমাদের জীবন সঙ্গীদের পাশে থেকে কল্যাণমূলক কাজে উদ্বুদ্ধ করবে। অনুষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্দীপনা ও উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়। বিশিষ্ট অভিনেত্রীর উপস্থিতি তাদের মধ্যে অন্যরকম আবেগ কাজ করতে থাকে । তাকে পেয়ে সবাই আনন্দে আপ্লুত হতে থাকে। বারবার তার কাছে মেয়েরা যেতে চায় এজন্য শিক্ষকদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। অনেকে আবেগে আপ্লুত হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে। তারা তাদের প্রিয় অভিনেত্রী থেকে কিছুতেই ছাড়তে চাচ্ছিল না। পরিশেষে প্রধান অতিথি অভিনেত্রী ভবিষ্যতে আরো দেখা হবে অঙ্গীকার করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। আরো বক্তব্য রাখেন কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম।