‘বঙ্গবন্ধু-১০০’ ধান আবাদে কুড়িগ্রামের কৃষকের সাফল্য

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ‘বঙ্গবন্ধু-১০০’ জাতের ধান পরীক্ষামূলক চাষ করে সফলতা পেয়েছে জেলার কৃষক। ইতোমধ্যে এই ধান ক্ষেতে শীষ বের হয়েছে। রোগ বালাইমুক্ত ক্ষেতভরা ধান দেখে ভালো ফলনের আশা করছে কৃষক ও কৃষি বিভাগ।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, জেলার সদর ও উলিপুর উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৫ হেক্টর জমিতে বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের কারিগরী সহায়তায় ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সার্বিক তত্বাবধানে এই ধানের আবাদ হয়েছে এবার।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন সদর উপজেলার হরিশ্বর কালোয়া গ্রামে বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানের প্রদশর্নী ক্ষেত পরিদর্শন করে দেখা গেছে। আশেপাশের সব ধান গাছ থেকে অধিক উচ্চতা আর শীষ ভর্তি পুষ্ট দানা নিয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে নতুন জাতের এই ধান।

কৃষক রহমত আলী জানান, কৃষি বিভাগের কাছ থেকে বীজ ও সার সহায়তা নিয়ে নিয়ে ৪৯ শতক জমিতে আবাদ করেছেন বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধান। সাইনবোর্ড দেখে কৃষক ও পথচারিরা কৌতুহলী হয়ে নানা তথ্য জিজ্ঞেস করে। শীষ বেরুনোর পর কৃষকরা আসছেন তার জমিতে। ফলন দেখে আগামীতে এই আবাদ করার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন।

তিনি আরো জানান, এই ধানে কোন রোগের আক্রমণ হয়নি। ক্ষেত হয়েছে সব জায়গায় সমান। জমির সব ধান তিনি বীজ হিসেবে রেখে দিবেন যাতে এই ধানের চাষ আরো সম্প্রসারিত হয়। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র জানান, নতুন জাতের এই ধানে রোগ বালাইয়ের আক্রমণ নেই। তাই ভালো ফলন পাবেন কৃষক।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, জিঙ্ক ও আয়োডিন সমৃদ্ধ প্রিমিয়াম কোয়ালিটির এই ধানের ফলন হবে হেক্টরে ৮ টন। কৃষক মহলে এই ধান জনপ্রিয় হবে। এই আগামীতে আরো সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশা করেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান