বরিশালে নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ‘বিসিসি’

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে নিরাপদ সড়ক, জলাবদ্ধতা, মশক নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও নগরীর নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি)।
বিসিসি-এর গণসংযোগ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মশক নিধনের জন্য কীটনাশক ক্রয় বাবদ চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও গবেষণার আলোকে ইতিমধ্যে মশক নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু হয়েছে।

নিরাপদ সড়ক বিনির্মানে নগরীর বিভিন্ন স্থানে স্প্রিড ব্রেকার, থ্রি-ডি জেব্রা ক্রসিং ও ডিভাইডার নির্মাণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কোন প্রকার প্রকল্প না পাওয়া সত্ত্বেও বিসিসি’র নিজস্ব অর্থায়নে নগরীর ৬ হাজার ৫’শ মি. সড়ক নির্মাণ, ২ হাজার মি. সড়ক সংস্কার, ১’শ ৫০ মি. ফুটপাত নিমাণন করা হয়েছে। রাস্তার সৌন্দর্য বর্ধন (রোড মাকিং, জেব্রা ক্রোসিং ও রোড সাইন) ১০টি, ১২ হাজার সড়ক বাতি মেরামত ও ২ কি.মি. ড্রেন কাম ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে।

জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি মেয়র নগরীর বিভিন্ন জলাবদ্ধপ্রবন এলাকায় গিয়েছে। আপনারা জানেন নগরীর জলাবদ্ধতা নিয়ে মানুষ কতটা ভোগান্তিতে ছিল। এ জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি মেয়র ও বিসিসি কর্তৃপক্ষ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বিসিসি’র নিজস্ব জনবল দিয়ে ড্রেনের স্লাজ নিয়মিত অপসার করার ফলেই বরিশাল নগরীর জলাবদ্ধতা অনেকটা মুক্ত হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন এবং রাস্তা উন্নয়নে এডিপি’র প্রস্তাবিত অগ্রাধিকার তালিকায় ৭০ কোটি টাকার প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।

বিসিসি’র সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, ড্রেন ও খালের ময়লা অপসারণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাজের ব্যবহৃত সামগ্রী ক্রয় বাবদ চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩২ লাখ টাকা। এছাড়াও এডিপির অর্থায়নে প্রস্তাবিত অগ্রাধিকার তালিকায় ১০ কোটি টাকার প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে নিয়মিত ড্রেনের স্লাচ অপসারণ ও আবাসিক বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। ব্যাপক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে নগরীকে জলাবদ্ধতা মুক্ত ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন প্রতিটি সকাল উপহার দিতে চেষ্টা করছে বিসিসি।

এ প্রসঙ্গে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বাসস’র সাথে আলাপকালে বলেন, চলতি অর্থ বছর অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যেমাত্রাকে (এসডিজি) সামনে রেখে বিসিসি’র কর্মপরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন স্বাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে অবকাঠমো গত উন্নয়ন করা হবে। মশক নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও গবেষণার আলোকে ইতিমধ্যে মশার ওষুধ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং মনিটরিং কার্যক্রমে আধুনিকায়ন ও জন সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বিসিসি মেয়র বলেন, বর্ধিত ওয়ার্ডগুলোসহ অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতে মৌলিক নাগরিক সেবাসমূহ বাস্থবায়ন করার জন্য আমি সচেষ্ট থাকবো। বিশেষ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিয়ন্ত্রণ এবং এ সংক্রান্ত আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের উপর আমি জোর দিচ্ছি।

মেয়র বলেন, করোনা পরিস্থিতির ফলে বিগত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের রাজস্ব আয় সম্পূর্ণ ভাবে অর্জন করা সম্ভব না হলেও চলতি অর্থবছরে তা পূরণ সম্ভব হবে।