বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার বলেছেন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করতে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ গ্রহণ করেছে সরকার।

আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়াতে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই। এ লক্ষ্য অর্জনে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বর্তমান সরকারের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নেয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১) নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেখার পর এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করতে তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে। “পরে, আমরা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তৈরি ও তা বাস্তবায়ন করি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একই সাথে ২০১১-২১ সালের জন্য প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা তৈরি করি এবং সে পরিকল্পনা অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন করার কাজ শুরু করি। “বাংলাদেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামি দিনগুলোতেও এগিয়ে যাবে।”

শেখ হাসিনা বলেন, ২০ বছরের প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি ২০২১ সাল থেকে আগামী চারটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সাথে বাস্তবায়ন করা হবে।

পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার সময় সিনিয়র সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সামসুল আলম প্রেক্ষিত পরিকল্পনার মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান প্রেক্ষিত পরিকল্পনাকে দীর্ঘ মেয়াদী “স্বপ্নের দলিল” হিসেবে উল্লেখ করেন।

প্রেক্ষিত পরিকল্পনা একবার বাস্তবায়ন হয়ে গেলে বাংলাদেশকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন দেখা উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যাবে বলে আশা করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।

কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, ড. তৌফিক-এ-এলাহী এবং ড. মশিউর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ