বাংলাদেশের তৈরী ওষুধ বিশ্ববাজারে ঠাঁই করে নিলেও

ওষুধ যখন জীবন নাশকারী হয়ে উঠে, তখন মানুষের অবস্থা কোথায় যায়? বাংলাদেশের তৈরী ওষুধ দিনে দিনে বিশ্ববাজারে ঠাঁই করে নিলেও দেশ ছেয়ে গেছে ভেজাল ওষুধে। লাইসেন্স থেকে শুরু করে মান নিয়ন্ত্রন সবখানেই আছে ঘাটতি। যথাযথ নজরদারির অভাবে হচ্ছে না মান নিয়ন্ত্রন। অনিয়ম, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত তদারককারীরা ভাবছে না মানুষের জীবনের কথা।

সত্ত্বরের দশক থেকে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে আসে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। বিশ্বের নামি দামী ওষুধ কোম্পানী হটিয়ে উঠে আসে দেশীয়  কোম্পানীগুলো। প্রথমে দখল করে নেয় দেশের বাজার আর এখন বিশ্বের ১২৩টি দেশে রপ্তানী করে আনছে কোটি কোটি ডলার।

এই শিল্প বিকশিত হলেও নেই যথাযথ নজরদারি। এসুযোগে অসাধু ব্যবসায়িরা বাজারে ছাড়ছে নকল আর ভেজাল ওষুধ। বিশেষ করে হারবাল, ইউনানি, আয়ুরবেদিক ও হোমিও ওষুধের গুনগত মান যাচাইয়ে আছে ঘাটতি। লাইসেন্স ধারি অনেক কোম্পানী থাকলেও, নেই তাদের পরীক্ষাগার বা ল্যাব। রাজধানী ও আশপাশের এলাকায়, ছোটোবড় ঘরে অনুমোদনহীন বিভিন্ন ওষুধ কারখানা রয়েছে,  যেগুলোতে কোন ধরণের মান নিয়ন্ত্রন ছাড়াই অতি গোপনে তৈরী করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ওষুধ।

ওষুধ শিল্পের গুনগত মান ঠিক না থাকার পিছনে অনেকাংশে দায়ী ওষুধ প্রসাশন যা ফুটে ওঠে কিছু কোম্পানী কর্মকর্তাদের কথায়।

বিষেশজ্ঞদের মতে, যে সব উপাদান দিয়ে এই ওষুধগুলো তৈরী, সেগুলোর মান সঠিকভাবে যাচাই বাছাই হয় না।

তবে, অভিযোগ নাকচ করে, ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক। বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সুনিষ্ট তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভেজাল আর নকল ওষুধ তৈরী বন্ধ হবে। ওষুধ মরণঘাতি না হয়ে, হবে রোগ নিস্পত্তির স্পন্দন এমনটাই প্রত্যাশা প্রতিটি নাগরিকের। একই সাথে বিশ্বের দরবাড়ে বাংলাদেশী ওষুধ আরো জায়গা করে নিবে সে আশাও শিল্প সংশ্লিষ্টদের।