বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে অষ্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে এবং চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।তিনি বলেন, অষ্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশী পণ্য রফতানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ১ বিলিয়ন মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বছরে সাড়ে ১৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ায় বছরে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশের ঘনিষ্ট ও বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া । সেদেশে আমরা সকল পণ্যের উপর ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা পেয়ে থাকি। বাংলাদেশ গত অর্থ বছরে অষ্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করেছে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত মিজ জুলিয়া নিব্লেট এর সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, সিরামিক টেবিল ওয়্যার, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, পিভিসি ব্যাগ, চিংড়ি, ক্যাপসহ বেশকিছু পণ্য অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি হয়। মন্ত্রী বলেন, উভয় দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ নীতি ও পরিবেশে অস্ট্রেলিয়া সন্তুষ্ট।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করেছে। প্রয়োজনে বিনিয়োগকারী শতভাগ অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারবে। বাংলাদেশ আইন প্রনয়ণ করে বিনিয়োগকারীদের অধিকার নিশ্চিত করেছে।অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, দু‘দেশের সম্পর্ক চমৎকার। বাংলাদেশের তৈরী পণ্য অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বেশি রপ্তানি হচ্ছে। আমরা দু‘দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। কার্গো জাহাজ সরাসরি চলাচল করলে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের তৈরী পণ্যের রপ্তানি আরো বাড়বে। বাংলাদেশের ৩০ হাজার মানুষ সুনামের সাথে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছে। অনেকেই নাগরিকত্ব পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ খুবই আন্তরিক ও অতিথি পরায়ন।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের দায়িত্বে) জহির উদ্দিন আহমেদ, যুগ্মসচিব (এফটিএ) মুনির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সুত্র: বাসস