বাজেটে দেশি শিল্পে সহায়তার আশ্বাস অর্থমন্ত্রীর

আগামী বাজেটে দেশিয় শিল্পে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মঙ্গলবার,৩রা মে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘কেমন বাজেট চাই- ২০১৭-২০১৮’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশ্বাসের কথা জানান।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এতে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এবং অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।

মাতলুব আহমাদ অর্থমন্ত্রীকে আরও প্রশ্ন রাখেন- আসছে বাজেটে রপ্তানিতে আমরা কি সহায়তা পাচ্ছি? জবাবে তখন অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা বলা বেশ মুশকিল। আমরা দেখবো কি করা যায়।

এর আগে তেলের দাম সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, তেলের দাম নিয়ে আমি আমার ব্যর্থতা স্বীকার করবো। এটা সমন্বয় করা হয়নি। যা অর্থনীতির জন্য ভালো নয়। এটা করতে পারলে প্রবৃদ্ধি বেশি হতো।

অনুষ্ঠানে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, আরএমজি সেক্টর হচ্ছে আমাদের রপ্তানির বড় খাত। তবে এই খাতে যেসব সুবিধা দেওয়া হয়েছে নন আরএমজি খাতেও (পোশাক বহির্ভূত খাত) সেটা দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের বাজেট টেকনোলজিবান্ধব নয়। সবাই শিল্পখাতে পরিবেশবান্ধব টেকনোলজির কথা বলছেন। এটা করতে গেলে যদি ৩৫ শতাংশ ট্যাক্স ধরা হয়, তাহলে কেন আমরা পরিবেশবান্ধব টেকনোলজি আনবো।

এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, নন আরএমজি সেক্টরে আয় বাড়াতে হবে। এটার পদক্ষেপ আমরা নিতে পারিনি।

দেশের শিক্ষাখাত সম্পর্কে মুহিত বলেন, শিক্ষার মান নিয়ে যে প্রশ্ন তা জাতীয় প্রশ্ন। আমাদের দেশে শিক্ষার মানের চেয়ে শিক্ষার প্রসারে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।

পোশাক খাতের রপ্তানি সম্পর্কে ফাহমিদা খাতুন বলেন, তৈরি পোশাকের রপ্তানিতে শ্লথগতি দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে, বায়াররা কারখানার কমপ্লায়েন্সের উপর চাপ দিচ্ছে অথচ পোশাকের সঠিক মূল্য দিচ্ছে না। তাই এ খাতের সবাইকে নিয়ে একটি সামাজিক সংলাপের আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির রিপোর্ট এতদিনেও দেশের মানুষকে জানানো হয়নি কেন বলে অনুষ্ঠানে প্রশ্ন রাখেন সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো লুটপাট হয়ে যাচ্ছে, খেলাপি ঋণ বাড়ছে, কর্মকর্তারা নানা রকম দুর্নীতি করছে। সেদিকে সরকারের নজর নেই।

সত্যিকার অর্থে বাজেট বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খসরু বলেন, মেগা প্রকল্পের নামে কি হচ্ছে বাংলাদেশে। চায়নাতে যে প্রকল্পে ২০ কোটি টাকা খরচ হয় সেটা আমাদের এখানে ৩০ কোটি টাকা লাগে।

বর্তমান প্রবৃদ্ধিকে জবলেস প্রবৃদ্ধি হিসেবে উল্লেখ করে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি এখন স্থবির হয়ে আছে। এখন প্রবৃদ্ধির একটা ফিগার দেওয়া হচ্ছে। আসলে এটা জবলেস প্রবৃদ্ধি।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/২রা মে,২০১৭