বাধা সত্ত্বেও নতুন ভ্যাট চালু করে ভারত

আজকের বাজার ডেস্ক
লক্ষ্যচ্যূত হওয়ার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও ভারত প্রথম ধাপেই নতুন ভ্যাট ‘গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স,জিএসটি’ চালু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি পেপালের প্রধান নির্বাহী ড্যান স্কালম্যানের সঙ্গে এক বৈঠকে এ তথ্য জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ৩ বছরে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপে ভারত ব্যবসা ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। প্রথম ধাপে সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন হয়েছে নতুন ভ্যাট ব্যবস্থাপনা।
ভারতীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, জিএসটি বাস্তবায়নের কারণে এখন করদাতারা আরও বিনয়ী হচ্ছেন। একটি বাধা ছিল করনেট বাড়ানো। জিএসটির মাধ্যমে তাও সফল হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৯৯ শতাংশ কর রিটার্ন অনলাইনেই সম্পন্ন হচ্ছে।
গত ১ জুলাই মধ্যরাত থেকে চালু হয় ভারতীয় ভ্যাট পরিষেবা জিএসটি। ৪ ‘ভিত্তিহার’ নিয়ে নতুন এই কর ব্যবস্থা শুরু করে মোদি সরকার। নতুন এই ব্যবস্থায় পণ্য ও পরিষেবায় ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ হারে কর পরিশোধ করতে হয়।
ভারতীয় মিডিয়ায় দাবি করা হয়, এতে রাজস্ব বৃদ্ধি ও পণ্যের দামের সরলীকরণ হবে। আগামীতে সার্বিক কর নীতি প্রয়োগও আরও সহজ হবে। জিডিপি বৃদ্ধি হতে পারে ১.৫ শতাংশ হারে।

সবচেয়ে বড় দাবিটি হল জিএসটি চালু হওয়ায় চাপ পড়বে না গরিব বা মধ্যবিত্তের পকেটে। উল্টো দাম কমবে এমন কিছু জিনিসের, যার সিংহভাগের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত সাধারণ মানুষ।
মোট ১২১১টি পণ্য এবং পরিষেবাকে আনা হয় জিএসটির আওতায়। ৪টি পর্যায়ে ভাগ করে তাদের উপর চাপানো হয় ০-২৮% হারে কর। সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পণ্য-পরিষেবাকে রাখা হয় ১৮% করের আওতায়।
তবে সমালোচনাও ছিল। বিশেষজ্ঞরা ওই সময় বলেন, জিএসটি ঠিকই গণমুখী। তবে এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হলে জনজীবনে এর সঠিক প্রভাব বোঝা সম্ভব হবে না।
ভ্যাট চালুর প্রথম দিনেই রাস্তায় নামতে দেখা যায় এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের। বিক্ষোভ প্রতিবাদের মিছিলও চলে।
অরুন জেটলি বলেন, জিএসটি রুখতে রাজনৈতিক দলগুলো অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে; সব বাঁধা মোকাবেলা করেছে সরকার। রাজ্যপ্রধানরা বিরোধী দলগুলোর কথায় কর্ণপাত করেনি, এতে আমি খুশি। কারণ, তারা জানত, এর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়বে।
এক হিসাবে দেখা যায়, প্রথম মাসে জিএসটি থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের তথ্য মতে, ৩৬ শতাংশ করদাতা রিটার্ন দাখিল না করলেও ওই মাসে সরকার অর্জন করে ৯২ হাজার ২৮৩ কোটি রুপি। এসময় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯১ হাজার কোটি রুপি।