বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, লামা-আলীকদমে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

টানা বর্ষণে বান্দরবান পার্বত্য জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে লামা ও আলীকদম উপজেলার সড়ক যোগাযোগ । এছাড়াও বন্ধ আছে থানচি উপজেলা সদরের সাথে তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়নের যোগাযোগ।
স্থানীয় ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান সদরের আর্মি পাড়া, ইসলাম পুর, বনানি সমিল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে লামায় সোমবার থেকে টানা বর্ষণের ফলে উপজেলায় অবস্থিত নদী, খাল ও ঝিরির পানি ফুঁসে উঠে পৌরসভা এলাকার নয়াপাড়া, বাসস্ট্যান্ড, টিএন্ডটি পাড়া, বাজারপাড়া, গজালিয়া জিপ স্টেশন, লামা বাজারের একাংশ, চেয়ারম্যান পাড়ার একাংশ, ছোট নুনারবিলপাড়া, বড় নুনারবিলপাড়া, উপজেলা পরিষদের আবাসিক কোয়ার্টার সমূহ, থানা এলাকা, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা বাজাররসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও থানচি উপজেলার বলিবাজার ইউনিয়নের হিন্দু পাড়া ও বাগান পাড়াসহ বিভিন্ন পাড়া প্লাবিত হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে অনেক গ্রাম। অনেকে যাতায়তের জন্য ব্যবহার করছেন নৌকা এবং বাঁশের ভ্যালা ।
এদিকে প্রশাসন সূত্রে আরো জানা যায়, জেলার দুই নদী সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এছাড়া পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে স্থানে যেতে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে প্রশাসন। এছাড়াও দুর্গতদের জন্য জেলায় ১৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসন থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গতদের দেয়া হচ্ছে খাদ্য।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সায়েদ ইকবাল জানিয়েছেন, সড়ক প্লাবিত হয়ে লামা ও আলীকদম এ দুই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল । পানি ঢুকেছে বসতবাড়ি ও দোকানপাটে। গতকাল রাতেই আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে সাধারণ মানুষ । আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের গতকাল রাত থেকে দেয়া হচ্ছে খিচুড়ি।