বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: চালক-হেলপার রিমান্ডে, অধরা সুপারভাইজার

কুমিল্লায় তিশা প্লাস পরিবহনের একটি বাসের ভেতরে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার বাসচালক আরিফ হোসেন সোহেল ও হেলপার বাবু শেখের মঙ্গলবার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে কুমিল্লার আদালত।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে ওই দুজনের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

এদিকে ঘটনার আটদিনেও গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি বাসের সুপারভাইজার আলম।

ওই তরুণীর মা বলেন, ‘দুদিন চিকিৎসার পর তাকে (ভিকটিম) বাড়ি নিয়ে এসেছি। তবে এখনো সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি। সে ভয়ে ভয়ে দিন পার করছে।’

এসময় ধর্ষক আলমকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে সকল নির্যাতনকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন তিনি।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। অপর আসামি আলমকে গ্রেপ্তার করতে বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ওই তরুণী (১৬) গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে তিশা প্লাস পরিবহনের একটি বাসযোগে কুমিল্লা শহরের শাসনগাছার উদ্দেশ্যে রওনা করেন।

ওই তরুণী বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে শাসনগাছা বাস স্টেশনে তাকে নামিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করে। তবে তারা তরুণীকে নগরীর শাসনগাছায় না নামিয়ে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়ার পর কৌশলে বাসটি জেলা সদরের অদূরে সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের আল-শাকিল হোটেলের সামনে নিয়ে যায়।

সেখানে মঙ্গলবার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে বাসের দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়ে ওই তরুণীকে হেলপার বাবু শেখ, চালক আরিফ হোসেন সোহেল ও সুপারভাইজার আলম মিলে ধর্ষণ করে। পরে ওই তরুণীকে পদুয়ার বাজার এলাকায় বাবু শেখের বসতঘরে নিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করা হয়। সকাল ৬টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তরুণীকে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেন তারা।

এ ঘটনার পরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই তিনজনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।