বাড়ল ফুটবল বিশ্বকাপের প্রাইজমানি

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। বাড়ছে ফিফার আয়ও। সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাড়িয়ে ফেলল বিশ্বকাপের প্রাইজমানির অঙ্কও। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলো মোট প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছিল ৩৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রাইজমানির অঙ্কটা ১২ শতাংশ বাড়িয়ে করা হলো ৪০০ মিলিয়ন ডলার।
ভারতের কলকাতায় বসেছে ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের আসর। এই টুর্নামেন্টের সুবাদেই গতকাল শুক্রবার কলকাতায় এক সভায় বসেছিলেন ফিফা কর্তারা। সেই সভাতেই বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এই ৪০০ মিলিয়ন প্রাইজমানির পুরোটাই অংশ নেওয়া ৩২ দলের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই আগের আসরের তুলনায় দলগুলোর প্রাইজমানির অঙ্কটা হবে বেশী। ২০১৪ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে জার্মানি প্রাইজমানি পেয়েছিল ৩৫ মিলিয়ন ডলার। রানার্স আপ আর্জেন্টিনা পেয়েছিল ২৫ মিলিয়ন ডলার।
২০১৮ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয় ও রানার্সআপ দুই দলই সমান ৩ মিলিয়ন ডলার করে বেশী পাবে। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৩৮ মিলিয়ন ডলার, রানার্সআপ দল ২৮ মিলিয়ন ডলার।

সমান ২ মিলিয়ন করে বেড়ে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অর্জনকারী দলের জন্য প্রাইজমানি করা হয়েছে যথাক্রমে ২৪ ও ২২ মিলিয়ন ডলার। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়া দলগুলো পাবে ১৪ মিলিয়নের পরিবর্তে সমান ১৬ মিলিয়ন ডলার করে।
দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে যাওয়া দলগুলোর প্রাইজমানির অঙ্কটা ৩ মিলিয়ন বাড়িয়ে করা হয়েছে সমান ১২ মিলিয়ন ডলার করে।
শুধু গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেওয়া দলগুলোর ভাগ্যই অপরিবর্তিত থাকছে। ২০১৪ বিশ্বকাপের মতো ২০১৮ বিশ্বকাপেও গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেওয়া দলগুলো প্রাইজমানি পাবে ৮ মিলিয়ন ডলার করে।
২০১৮ বিশ্বকাপে স্পন্সরশিপ সত্ত্ব থেকে ফিফার মোট ৫ মিলিয়ন ডলার আয় হবে বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিশাল অঙ্কের সেই আয় থেকেই অংশ নেওয়া দলগুলোকে এই প্রাইজামানি দেওয়া হবে।
উপরে উল্লেখিত এই প্রাইজমানি দলগুলো পাবে রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার পর। এ ছাড়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যও প্রতিটি দল বাড়তি ১.৫ মিলিয়ন ডলার করে প্রাইজমানি পাবে। ২০১৪ বিশ্বকাপেও প্রস্তুতি প্রাইজমানির অঙ্কটা একই ছিল।
আজকের বাজার : সালি / ৩০ অক্টোবর ২০১৭