বায়ার্ন থেকে থিয়াগো আলচানতারাকে দলে ভেড়ালো লিভারপুল

বায়ান মিউনিখ থেকে ২০ মিলিয়ন পাউন্ডে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার থিয়াগো আলচানতারাকে দলে ভিড়িয়েছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। এর মাধ্যমে বায়ার্নের সাথে আলচানতারার সাত বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটলো। দীর্ঘ মেয়াদেই লিভারপুলের সাথে তার চুক্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বায়ার্নকে গত মৌসুমে বুন্দেসলিগা, জার্মান কাপা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা উপহার দিয়ে এ্যানফিল্ডে পাড়ি জমান।

লিভারপুলের ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কে থিয়াগো বলেছেন, ‘আমি মনে করি এটা একটি অসাধারণ অনুভূতি। অনেকদিন ধরেই আমি এই মুহূর্তটির অপেক্ষায় ছিলাম। এখানে আসতে পেরে আমি দারুন খুশী।’

সূত্রমতে জানা গেছে রেডসদের সাথে থিয়াগো চার বছরের চুক্তি করেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই আলকানটারাকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে আসছিল ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। চুক্তির ২০ মিলিয়নের সাথে বোনাসসহ আরো ৫ মিলিয়ন পাউন্ড গুনতে হতে পারে লিভারপুলকে।

এ্যানফিল্ডে থিয়াগো ৬ নম্বর জার্সি পড়ে মাঠে নামবেন। গ্রীস লেফট-ব্যাক কোস্তাস টিসিমিকাসকে গত মৌসুমের শেষে চুক্তিভূক্ত করার পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে লিভারপুলে আসলেন থিয়াগো।

বার্সেলোনা থেকে ২০১৩ সালে বায়ার্নে যোগ দিয়েছিলেন থিয়াগো। আরো এক বছর তার সাথে বায়ার্নের চুক্তি বাকি থাকলেও নতুন চ্যালেঞ্জের লক্ষ্যে চুক্তি নবায়নে অস্বীকৃতি জানান। জার্মানীতে তার সময়টা দারুন কেটেছে। বেভারিয়ান্সদের হয়ে জিতেছেন সাতটি বুন্দেসলিগা, চারটি জার্মান কাপ, একটি ক্লাব বিশ্বকাপ ও সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা।

এখন থিয়াগো বিশ্বাস করেন জার্গেন ক্লপের দলের হয়েও তিনি একইরকম সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বছর শেষে যতটা সম্ভব শিরোপা জয়ের লক্ষ্য সবারই থাকে। আর সেটা জিতে গেলে আরো জেতার আকাঙ্খা জাগে। আশা করছি লিভারপুলের হয়ে আমি সব লক্ষ্য পূরণ করতে পারবো। যতটা সম্ভব শিরোপা জেতাই আমার মূল লক্ষ্য। সতীর্থ ও সমর্থকদের সাথেও আমি দ্রুতই সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।’

পিএসজির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে থিয়াগো ছিলেন বায়ার্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। ইতোমধ্যেই তাকে বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। গত মৌসুমের শেষে ট্রান্সফার মার্কেটে লিভারপুলের অতি সতর্কতার কারনে কিছুটা হলেও সমালোচনার মুখে পড়েন ক্লপ। শেষ পর্যন্ত থিয়াগোকে দলে ভিড়িয়ে সেই সমালোচনা থেকে অন্তত বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন রেডস বস। এ সম্পর্কে ক্লপ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে ক্লাবে যা পরিস্থিতি তাতে এই ধরনের চুক্তি সত্যিই ব্যতিক্রম। সারাক্ষন সবাইকে ট্রান্সফার মার্কেট নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এরপর প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে এই ধরনের বড় ট্রান্সফার সফল করতে অনেক কিছুই চিন্তা করতে হয়। আমি জানি বায়ার্ন তাকে ধরে রাখতে মরিয়া ছিল। এটাই স্বাভাবিক, কারন সে দলটির একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিল। তবে এক্ষেত্রে থিয়াগো নতুন চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় ছিল। যা আমাদের সহযোগিতা করেছে। এছাড়াও সে আমাদের দলেও আসতে চেয়েছিল।’

রোববার চেলসির বিপক্ষে থিয়াগোর খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কিন্তু আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে আর্সেনালকে আতিথেয়তা দেবার ম্যাচটিতে তিনি নিশ্চিতভাবেই মাঠে নামছেন।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত থিয়াগো এ্যানফিল্ডে খেলতে নামবেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬’র প্রথম লেগের ম্যাচে তিনি এখানে বায়ার্নের হয়ে খেলেছেন। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান