বিশ্ববাজারে চিনির দর কমেছে ৯.১%

বিশ্ববাজারে সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিলে খাদ্যসামগ্রীর দাম কমেছে। চিনি, ভোজ্য তেলসহ প্রধান প্রধান খাদ্যসামগ্রীর উৎপাদন ও সরবরাহে যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকায় বাজারে এ প্রভাব পড়েছে। এপ্রিলে খাদ্যপণ্যের গড় দাম নেমেছে ১৬৮ পয়েন্টে। গত মার্চ থেকে যা ১.৮ শতাংশ কম।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

তবে এপ্রিলের এই পরিসংখ্যান গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের এপ্রিলে খাদ্যের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, গড় খাদ্য সূচকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে চিনি। পণ্যটির দর ৯.১ শতাংশ কমেছে। এছাড়া এক মাসের ব্যবধানে ভোজ্যতেলের দর কমেছে ৩.৬ শতাংশ।

ডেইলিটাইমসের এক খবরে বলা হয়, এ বছর দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকায় সয়া সয়াবিনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া পাম তেলেরও চাহিদা কমে যাবে। যার প্রভাব পড়বে ভোজ্যতেলে। অতিরিক্ত সরবরাহের সম্ভাবনায় তাই পণ্যটির দর কমে গেছে।

মোট ৫ ধরনের পণ্য নিয়ে প্রতি মাসে হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে এফএও। অন্য পণ্যগুলো হলো- দানাজাতীয় শস্য, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য এবং মাংস।

সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী,  এপ্রিলে দানাজাতীয় শস্যের দর ১.২ শতাংশ; দুগ্ধজাত পণ্যের দর ৩.৩ শতাংশ কমেছে। তবে বেড়েছে মাংসের দর। পণ্যটির দর মার্চ মাস থেকে ১.৭  শতাংশ বেড়ে