বেলজিয়ামের বিপক্ষে জয়ের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে চান সাউথগেট

শক্তিশালী বেলজিয়ামের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ের মাধ্যমে নেশন্স লিগে এ-লিগের ২ নম্বর গ্রুপে শীর্ষে উঠে এসেছে ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত এই জয়ের পর ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বিশ^াস করেন তারা যা অর্জন করতে পারেন তার ছোট একটা ঝলক ছিল এই জয়টি। বিশে^র এক নম্বর দল বেলজিয়াম টানা ১২টি ম্যাচে জয়ের সুখকর অভিজ্ঞতা নিয়েই ইংল্যান্ড সফরে এসেছিল।

রোমেলু লুকাকুর পেনাল্টিতে ওয়েম্বলীর ম্যাচে তারা এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু মার্কোস রাশফোর্ডের স্পট কিকের পর ম্যাসন মাউন্ডের ডিফ্লেকটেড শটে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষের ২৫ মিনিট আগে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়। এই জয়ে থ্রি লায়ন্সরা এক পয়েন্টে বেলজিয়ামকে পিছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে। গ্রুপে আরো রয়েছে তিনটি ম্যাচ। আগামী মাসে ব্রাসেলসে আবারো এই দুই দল একে অপরের মোকাবেলা করবে।

করোনার কারনে এ বছর বাতিল হয়ে যাওয়া ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপে নিজেদের বেশীরভাগ ম্যাচ আগামী বছর ইংল্যান্ডে নিজেদের মাঠে আয়োজন করবে। এই প্রথমবারের মত ইউরোতে শিরোপা জেতার পথে বেলজিয়াম হয়ে উঠতে পারে তাদের সবচেয়ে বড় বাঁধা। সাউথগেট বলেন, ‘আমরা কঠিন ম্যাচে রক্ষনাত্মক কৌশলে কখনই খেলতে চাই না। বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল আমাদের জন্য অনেক বড় একটি পরীক্ষা। এই ধরনের পরীক্ষা নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য অত্যন্ত জরুরী। এটাই নেশন্স লিগের সৌন্দর্য্য।

এখানে এই ধরনের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বারবার খেলার সুযোগ থাকে। বেলজিয়ামের মত দলের বিপক্ষে খেলতে পারার সুযোগই অনেক বড় বিষয়, তার উপর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া। আত্মবিশ^াস স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে যায়। আগামী বছরগুলোতে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চলাটা সহজ হবে।’

বেলজিয়াম বস রবার্তো মানচিনি অবশ্য বলেছেন, ‘ভিএআর প্রযুক্তি ব্যবহৃত হলে ম্যাচের চেহারা পাল্টে যেতে পারতো। আমাদের একটি গোল বাতিল করা হয়েছে, আমি মনে করি এটা কোনভাবেই অফসাইড ছিল না। ভিএআর একটি ম্যাচকে ভিন্ন একটি পর্যায়ে নিয়ে যায়। আর এটা না থাকলে পুরো বিষয়টি রেফারির জন্য সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে।’