বেসরকারি খাতে বৈচিত্র্য আনতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

তৈরি পোশাক (আরএমজি) শিল্পসহ অন্যান্য বেসরকারি খাতে বৈচিত্র্য আনতে বাংলাদেশকে সহায়তায় নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্টের (ইউএসএইড) ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক এক টেলিফোন ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘মার্কিন সরকারের দৃষ্টিকোণ থেকে আমি আপনাদের বলতে পারি, যে ক্ষেত্রগুলোতে আমরা বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চাইছি তার মধ্যে একটি হলো- কীভাবে বাংলাদেশ তার বেসরকারি খাতে বৈচিত্র্য আনতে পারে সেটি।’

সাম্প্রতিক এ ব্রিফিংয়ে আরও কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কেইথ ক্র্যাচ।

ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক জানান যে তিনি সাপ্লাই চেইন কর্মী, যাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় নারী শ্রমিক, তাদের সহায়তার দিকে নজর দিয়ে মার্কিন খুচরা ব্যবসায়ী, পোশাক ও জুতা শিল্প সংস্থা এবং শিল্প সমিতিগুলোর একটি সংগঠনের সাথে নতুন সমঝোতা স্মারক ঘোষণা করেছেন।

গ্লিক বলেন, ‘এ দেশগুলো তাদের আয় বৃদ্ধির জন্য পোশাক শিল্পের ওপর প্রচুর নির্ভর করে এবং এটি এমন একটি খাত যা কোভিড-১৯ মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

ভিয়েতনামের হ্যানয় থেকে ভার্চুয়ালি আয়োজিত মার্কিন সরকারের তৃতীয় বার্ষিক ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে বুধবার এ ঘোষণা দেন বনি গ্লিক।

করোনাভাইরাস বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ব্যাহত করেছে। এটি ফ্রন্টলাইন শ্রমিকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে এবং এর ফলে লাখ লাখ শ্রমিক বিশেষ করে নারী শ্রমিকরা চাকরি হারিয়েছেন।’

করোনা পরিস্থিতির কারণে এশিয়াতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে পোশাক, জুতা এবং ফ্যাশন ও আনুষাঙ্গিক খাতগুলো যা লকডাউনের ফলে সরবরাহ ও চাহিদা সীমাবদ্ধতার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।

গ্লিক বলেন, ‘আগামী বছরগুলোতে একসাথে কাজ করার অভিপ্রায় নিয়ে আমরা চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছি যা মূলত এ চারটি দেশে সংস্থাগুলোর সাপ্লাই চেইনে কাজ করা নারী শ্রমিকদের সমস্যাগুলো দূর করতে সহায়তা করবে।’

তিনি বলেন, স্থানীয় অংশীদারদের সহযোগিতায় এ প্রচেষ্টাগুলো আরও বেশি স্থিতিশীল খাত এবং কর্মশক্তি গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

‘এটি কারখানার শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ বৃদ্ধি করবে এবং নারী কর্মীদের ক্ষমতায়িত করবে,’ বলেন তিনি।

সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরকারী অংশীদারী সংস্থা এবং শিল্প সমিতিগুলো হলো- কার্টার’স ইনকরপোরেটেড, গ্যাপ ইনকরপোরেটেড, গ্লোবাল ব্র্যান্ডস গ্রুপ, লেভি স্ট্রস অ্যান্ড কোম্পানি, নাইকি, টেপস্ট্রি, টার্গেট, ভিএফ করপোরেশন, ওয়ালমার্ট, আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন, দ্য ন্যাশনাল রিটেইল ফাউন্ডেশন, দ্য রিটেইল ইন্ডাস্ট্রি লিডার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ইউএস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন।