ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের আয়কর ৩ লাখ করাসহ ২০ প্রস্তাব ডিসিসিআই’র

আসছে বাজেটে করপোরেট কর কমানোর পাশাপাশি ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের আয়কর আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকায় উন্নতি করাসহ ২০ প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এ প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুন বাগিচার এনবিআরের কনফারেন্স কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনের সভাপতি ওসামা তাসীর, এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এনবিআরের একাধিক সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পাশাপাশি ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটের প্রস্তাবের লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্য হলো বেসরকারি বিনিয়োগ-জিডিপির অনুপাত বৃদ্ধি। কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়ানো।’

তিনি বলেন, ‘বাজেটে আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, এবারের বাজেট সহজ ও ব্যবসা বান্ধব হবে। আয়কর ও মূল্য সংযোজন করের আওতা বৃদ্ধি এবং কর প্রদানের উৎসাহিতকরণে সচেতনতা বৃদ্ধি। আয়কর সংগ্রহে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, কর ব্যবস্থা অটোমেশন, রফতানি বহুমুখীকরণ এবং স্থানীয় শিল্পায়ন উৎসাহিতকরণ।’

সংগঠনের প্রস্তাবনা গুলো হচ্ছে-পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করে হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা পুঁজিবাজারে লিস্টে ব্যাংক, ইনস্যুরেন্স এবং এনবিএফআইয়ের কর হার ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ করা ইত্যাদি।

ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের আয় কর ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকায় উন্নতি করা। ডিভিডেন্ডের আয়ের ওপর আরোপিত কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা।

ব্যক্তি পর্যায়ে করদাতার জন্য শিক্ষা ভাতা প্রদান করা, গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগে করলে উক্ত ক্ষেত্রে আয়কর মুক্ত রাখা। বিনিয়োগে কর রেয়াত সুবিধা এবং করের আওতা বৃদ্ধির জন্য অঞ্চলভিত্তিক করদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের করের আওতায় আনা ইত্যাদি।

প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আগামী হবে বাজেট ব্যবসাবান্ধব। তাতে উৎপাদন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।’

তিনি বলেন, ‘বাহুল্য কম এই ধরণের বাজেট হলে ভাল হয়। অনেক সময় কনসেশন করতে হয়। আসলে সব বিষয় নিয়েই বাজেট হয়। আমরা গত বছরও করপোরেট ট্যাক্সের উপর ছাড় দিয়েছি।’

ভারতের চেয়ে আমাদের করপোরেট ট্যাক্স অনেক কম। তবে সরকারের পর্যায়ক্রমে ট্যাক্স কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সেটি আমরা দেখব। ডিভিডেন্ডের উপরও ট্যাক্স কমানোর বিবেচনায় আছে। রেভিনিউ যাতে বেশি থাকে সেদিকে আমরা খেয়াল রাখব।

চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের শিল্পায়নে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। নতুন ভ্যাট আইন এবছর বাস্তবায়ন হবে। রেভিনিউ যদি ঠিক মতো না আসে তাহলে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কিভাবে চলবে। তাই রেভিনিউ দিকে সকলকে দৃষ্টি দিতে হবে।’

আজকের বাজার/এমএইচ