ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ১ হাজার ১৭৯ জনের মৃত্যু

ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে নতুন করে আরো ১ হাজার ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কোভিড-১৯ ভাইরাসে ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এদেশে দৈনিক হিসাবে মৃত্যুর এ সংখ্যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একথা জানায়। খবর এএফপি’র।
মন্ত্রণালয় জানায়, এনিয়ে ব্রাজিলে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন মোট ১৭ হাজার ৯৭১ জনে দাঁড়ালো। এদিকে এই প্রথমবারের মতো দেশটিতে প্রতিদিনের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়ালো।
গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে নতুন করে আরো ১৭ হাজার ৪০৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে মোট ২ লাখ ৭১ হাজার ৬২৮ জনে দাঁড়ালো।
আগামী দিনগুলোতে বৃদ্ধির এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ব্রাজিলে তাদের এ মহামারি অধ্যায়ের দ্রুত বিস্তার ঘটতে দেখা যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুনের শুরুর দিকে দেশটিতে করোনাভাইরাসের বিস্তার চরম পর্যায়ে পেঁৗঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাজিলে সরকারিভাবে ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ গুণেরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, দেশটিতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সোমবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে ব্রাজিল ষষ্ট অবস্থান থেকে এক লাফে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে ব্রাজিল এখন কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পেছনে রয়েছে।
এদিকে ব্রাজিলের কট্টর ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো ল্যাটিন আমেরিকার এ বিশাল দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে লকডাউন তুলে নিতে চাপ দেয়ায় দেশটির ২৭ টি রাজ্য গভর্নরের অধিকাংশের সাথে তিনি সরাসরি বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।
প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো এ ভাইরাসকে একটি ‘সামান্য ফ্লু’র’ সাথে তুলনা করেছেন এবং দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি বন্ধে ফের কাজ শুরু করতে দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অপরদিকে রাজ্য ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের ঘরে থাকার এবং জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জোরালো আহ্বান জানিয়েছে।
দেশটিতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এভাবে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়ায় বিষয়টি আদালতে গড়ালে আদালত রাজ্য ও স্থানীয় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের পক্ষে সমর্থন দেয়।