ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে হিলি বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা

অভ্যন্তরীণ সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এ পদক্ষেপের ফলে বিপাকে পড়েছেন হিলি বন্দর ব্যবহারকারী পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।

সোমবার পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায় দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতে আটকা পড়েছে ২৫০-৩০০ পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক। এছাড়া এলসি করা প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আসা নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমদানিকারকরা।

এদিকে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরে বন্দরের বাজারে প্রতি কেজি ৫-৮ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৬ টাকায়।

বন্দরের ভারতীয় অংশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শংকর দাশ জানান, ভারত সরকারের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর সোমবার সন্ধ্যায় পেঁয়াজ রপ্তানি সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি ভারতে বন্যায় পেঁয়াজের আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে মজুদ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। মূলত দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, হঠাৎ করেই ভারত সরকার বন্যার কারণ দেখিয়ে তাদের অভ্যন্তরীণ সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা ১০ হাজার টনের মতো পেঁয়াজ আমদানি জন্য এলসি করেছেন। যার বিপরীতে ২৫০-৩০০ ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে ভারতে আটকা পড়েছে। এসব ট্রাক দেশে প্রবেশ করতে না পারলে পেঁয়াজে পচন ধরে নষ্ট হবে। লোকসান গুনতে হবে আমাদের। আমরা চাই আমাদের এলসি করা পেঁয়াজগুলো যাতে দেশে পাঠানো হয়।’