ভারতে অক্সফোর্ডের টিকার জরুরি অনুমোদন দেয়ার আবেদন

পরিমাণের দিক দিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কার করা কোভিড-১৯ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) কাছে আবেদন করেছে, খবর দ্য হিন্দুস্তান টাইমস।

সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পোনাওয়ালা এক টুইটে বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ২০২০ সাল শেষ হওয়ার আগেই সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ভারতে উৎপাদিত প্রথম টিকা কোভিশিল্ড’র জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। এটি অসংখ্য জীবন বাঁচাবে এবং আমি ভারত সরকার ও নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই তাদের অমূল্য সমর্থনের জন্য।’

ভারতের ১৫ জায়গায় ১,৬০০ অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে বর্তমানে টিকাটির পরীক্ষা চলছে।

বিশ্বব্যাপী চালানো পরীক্ষার ফলে দেখা গেছে যে একজন ব্যক্তির মাঝে প্রথমে অর্ধেক ডোজ এবং পরে পূর্ণ এক ডোজ প্রয়োগ করা হলে এ টিকা সংক্রমণ প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকর হয়ে থাকে।

কোভিড-১৯ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে ডিসিজিআইয়ের কাছে মার্কিন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের আবেদনের পরই সিরাম ইনস্টিটিউটও একই পদক্ষেপ নিল। ফাইজারের টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর হলেও এর দাম অক্সফোর্ডের টিকার পাঁচগুণ বেশি হতে পারে এবং তা সংরক্ষণ করতে হবে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ টিকার দাম ৫০০ থেকে ৬০০ রুপি হবে বলে জানিয়েছেন আদর পোনাওয়ালা।

বাংলাদেশ সরকার অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সার্স-কোভ-২ এজেডডি ১২২২-এর তিন কোটি ডোজ পেতে গত ৫ নভেম্বর সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া প্রাইভেড লিমিডেট এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সাথে সমঝোতা স্মারক সই করে।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বেক্সিমকো ফার্মাকে সরবরাহ করবে।