ভালো ঘুমের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম, আর ভাল ঘুমের জন্য চাই আরামদায়ক বিছানা, বালিশ আর শান্ত পরিবেশ। বিশেষ করে বালিশ ঠিকঠাক না হলে অনেকেই শান্তিতে ঠিক মতো ঘুমোতে পারে না। সারা রাত এপাশ-ওপাশ করে কেটে গেলেও ভালো ভাবে ঘুম হয় না! তাই ভাল ঘুমের জন্য বালিশটা হওয়া চাই একদম ‘পারফেক্ট’!

কিন্তু কোনও ধরনের বালিশকে ‘পারফেক্ট’ বলা যেতে পারে? জেনে নিন ভাল ঘুমের জন্য ‘পারফেক্ট’ বালিশ বেছে নেওয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস।

আকৃতি: বালিশের আকৃতি আপনার পছন্দ মতোই নির্বাচন করতে পারবেন। তবে খুব বেশি ছোট বালিশে আপনার ঘুম ভাল হবে না। মিডিয়াম, লার্জ, স্ট্যান্ডার্ড, ইত্যাদি নানা মাপের তৈরি করা বালিশ বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এর থেকে আপনার পছন্দমত একটি বালিশ বেছে নিতে পারেন।

বালিশের কভার: বালিশের কভার খুব বেশি খসখসে হওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে কারুকাজ করা চাদরের সঙ্গে যেই বালিশের কভারগুলো দেওয়া থাকে সেগুলো রাতে ঘুমানোর সময় ব্যবহার করা উচিত না। বালিশের কভার হিসেবে নরম সুতির কাপড়ের বা সার্টিন কাপড়ের কভারই সবচেয়ে ভাল।

বালিশের উচ্চতা: অতিরিক্ত উঁচু বা একদম নিচু বালিশ ঘুমের জন্য এবং স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। বালিশের উচ্চতা হওয়া উচিত মাঝারি। বালিশের উচ্চতা এমন হওয়া উচিত, যাতে কাঁধ বা ঘাড় না বাঁকিয়ে মোটামুটি সোজা বা সমান্তরাল রেখে শোয়া যায়। যদি এক পাশে ফিরে শোয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে বিছানায় শোয়ার পরে কাঁধের সঙ্গে গলার উচ্চতা যত টুকু তত টুকুই হওয়া উচিত বালিশের উচ্চতা। আর যদি আপনি চিৎ হয়ে শুতে পছন্দ করেন, তাহলে আপনার ঘাড় এবং বালিশের উচ্চতা সমান্তরালে থাকা উচিত।

বালিশের উপকরণ: বালিশের উপরকরণ প্রাকৃতিক হওয়াই ভাল। ফোমের বালিশ বেশ নরম হলেও ঘুমানোর জন্য মোটেই তেমন আরামদায়ক নয়। এ ধরণের বালিশে স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। তাই তুলার তৈরি বালিশই ভাল ঘুম এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি

আজকের বাজার/ লুৎফর রহমান