ভুয়া কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট নিয়ে বাংলাদেশীরা ইতালিতে প্রবেশ করেনি : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ইতালি সরকার অন্য ১২ টি দেশের সঙ্গে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিমান স্থগিত করার প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ স্পষ্ট করে জানিয়েছে মহামারীতে ইতালিতে প্রবেশ করা বাংলাদেশিরা নকল কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যায়নি।
ইতালির কিছু বাংলাদেশী প্রবাসীদের মধ্যে করোনভাইরাস সনাক্তকরণ সংক্রান্ত কিছু সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ এবং কয়েকটি নিউজ চ্যানেলে সম্প্রচারিত সংবাদের দিকে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ব্যাখ্যা স্পষ্ট করে।
এতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তুলে ধরতে চাই যে স¤প্রতি ইতালিতে যাওয়া প্রায় ১ হাজার ৬ শ’ বাংলাদেশী ভুয়া কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যায়নি।
ইতালি সরকার এখনো ইতালি ভ্রমণের জন্য কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট বহন করার কোন শর্ত রাখেনি, যদিও কিছু বাংলাদেশী যাত্রী যদি তাদের পরবর্তীতে প্রয়োজন হয় তাই তারা নিজেরা সার্টিফিকেট বহন করে।
বাস্তবতা হচ্ছে, (ইতালিগামী বাংলাদেশী) যাত্রীদের মধ্যে মাত্র ৩৩ জন কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট বহনকারী এবং রিজেন্ট হাসপাতাল বা জেকেজি থেকে কেউ নেয়নি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ইতালির কোন যাত্রীকে নেগেটিভ কোভিড সার্টিফিকেট বহন করার প্রয়োজন ছিল না। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাসসকে ক্ষুদে বার্তায় জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে আরও বলা হয়েছে, ইতালী কতৃপক্ষ আরও ১২ টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচল নিষিদ্ধ করেছে, যদিও কিছু গণমাধ্যম প্রচার করে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইতালী ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে।
তবে দুর্ভাগ্যবশত, সা¤প্রতিক দিনগুলোতে ইতালি ভ্রমণ করা কিছু বাংলাদেশী বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন নিয়ম মেনে চলেনি এবং ‘সম্ভবত তাদের মধ্যে কেউ কমিউনিটিতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকতে পারেন।’
গত এক সপ্তাহে ৫ হাজার পরীক্ষার মধ্যে ইতালির লাজিও অঞ্চলের ৬৫ জন বাংলাদেশীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। এদিকে ইতালি সরকার রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে সমন্বয় করে বসবাসকারী সকল বাংলাদেশীর (প্রায় ৩০ হাজার) জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।