ভৈরবে বিধ্বস্ত বিদ্যুতের টাওয়ার মেরামতে ৪ মাস লাগবে

ভৈরবে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের বিধ্বস্ত টাওয়ারটি মেরামতে ৪ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহাম্মদ কায়কাওয়াস। তিনি বলেন, ১ মে দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিধ্বস্ত বিদ্যুতের টাওয়ারটি মেরামতের জন্য কোরিয়ান একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন বিধ্বস্ত টাওয়ার সরানোর কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

শুক্রবার,৫ মে ভৈরবের কালিপুর এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে বিধ্বস্ত টাওয়ারটি পরিদর্শন শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাওয়ারটি নির্মাণের সময় কোনো নির্মাণত্রুটি ছিল না। দেশের সাধারণ ঝড়-তুফানের বিষয় মাথায় রেখে জাতীয় গ্রিডের এই সঞ্চালন লাইনের টাওয়ার নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বা টর্নেডোর গতিবেগ কি হবে- সেটাতো আগে থেকে নিরূপণ করা যায় না। টাওয়ারটি ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্টদের কিছুই করার ছিল না।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আল বিরুণী বলেন, বর্ষাকালের জন্য এই টাওয়ার মেরামত কাজের কোনো অসুবিধা হবে না। টাওয়ার মেরামতের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘোড়াশাল-সিরাজগঞ্জ সঞ্চালন লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এতে কিছুটা লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হবে ওসব এলাকার গ্রাহকদের। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, উন্নয়ন কাজ চলছে। আগামী জুন মাসের দিকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় আসবে ভৈরব।

এসময় পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী দেবাশিষ দাস, আশুগঞ্জ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (এপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান, ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহমেদ, বাংলাদেশী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আরাফাত ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলামসহ বিদ্যুৎ বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ১ মে দিবাগত রাতে ভৈরবসহ আশপাশের এলাকা দিয়ে এক ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। ওই সময় আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের একটি টাওয়ার বিধ্বস্ত হয়। এতে সিরাজগঞ্জসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। বিকল্প গ্রিডলাইন ব্যবহার করে ওসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

আজকের বাজার: এলকে/ এলকে/৫ মে,২০১৭