ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকাল ৯টার দিকে নগরীর মডার্ন হাইস্কুল কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ভোট দেন। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু সকাল সাড়ে ৯টায় হোচ্ছামিয়া হাই স্কুল কেন্দ্র ভোট দিয়েছেন।

ভোট দেওয়ার পর দুজনই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

বেলা ১১টা দিকে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কেন্দ্র দখলের চেষ্টার অভিযোগে কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজ (কমার্স কলেজ নামে পরিচিত) কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। বেলা ১১টার দিকে নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকার ওই কেন্দ্রে ১০ থেকে ১৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা। এরই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। ঘণ্টা খানেক পর ওই কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

এছাড়া দুপুর ২টার দিকে নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের রাস্তার পাশ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ নির্বাচনে মেয়র পদে সীমা ও সাক্কু ছাড়াও লড়ছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) শিরিন আক্তার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুর রশীদ।

এ ছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন ১১৪ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিল প্রার্থী ৪১ জন।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে রয়েছে ২৭টি ওয়ার্ড এবং ৯টি সংরক্ষিত আসন। এর জন্য ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ১০৩টি করা। সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি। নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৪৪৭ জন এবং পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ১১৯ জন।