ভোট দিন, কেন্দ্র পাহারা দিন: রংপুরে ফখরুল

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’ ঠেকাতে দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে কেন্দ্র পাহারা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

২১ ডিসেম্বরের ভোটকে সামনে রেখে প্রচারের শেষ বেলায় সোমবার নগরীতে যান বিএনপি মহাসচিব। দুপুরে নগরীর সিও বাজার এলাকায় প্রচার শুরু করেন তিনি। সিও বাজার ছাড়াও মেডিকেল মোড়, ডিসির মোড়, কাচারি বাজার, সিটি বাজার, পায়রা চত্বর এলাকায় ধানের শীষে ভোট চান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়। আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন ধানের শীষে ভোট দেবেন এবং ভোট কেন্দ্র পাহারা দেবেন যাতে সরকারের লোকজন ভোট ডাকাতি করতে না পারে।’

‘আওয়ামী লীগ চোরের দল। তারা ভোট চুরি করে। আপনারা ভোট চুরি করতে দেবেন না।’

আগামীকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে সিটি নির্বাচনের প্রচার। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা অবস্থান করছেন রংপুরে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন তারা।

এই নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন মোট সাত জন। তবে তিন জন আছেন মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এরা হলেন সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগের সরফুদ্দিন আহমেদ ঝণ্টু, বিএনপি প্রার্থী করেছে কাওসার জামান বাবলা এবং জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

রংপুরে মেয়র পদে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে গণজোয়ার দেখছেন ফখরুল। তার দাবি মানুষ কেন্দ্রে যেতে পারলে বিপুল ভোটে বিএনপির প্রার্থী জিতবে।

‘মানুষ এই সরকারকে ঘৃণা মানুষ। তাদেরকে মানুষ আর ভোট দিতে চায় না, তাদের বিশ্বাস করে না। তাই ধানের শীষের জোয়ার উঠেছে।’

বাবলার প্রধান সমন্বয়ক সুলতান মাহমুদ টুকু, বিএনপির নেতা জয়নাল আবদীন ফরুক, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আসাদুল হাবিব দুলু, নগর বিএনপির সভাপতি মোজাফফর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ দলের নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সরকারের বিরুদ্ধে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ তোলেন ফখরুল। বলেন, ‘সরকার জনগণের সাথে তামাশা করছে, মিথ্যাচার করছে। তারা ১০ টাকায় চাল দিতে চেয়েছে, এখন ৪০ টাকার নিচে চাল পাওয়া যায় না। পেঁয়াজের দাম একশ টাকার ওপরে। যেখানে যাবেন ঘুষ দুর্নীতি ছাড়া কিছু নেই।’

‘খুন, ধর্ষণ, হত্যা জখম ছাড়া কোনো খবর নেই’ মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এখন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে হত্যা করা হচ্ছে। বিনা বিচারে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।’

‘মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা লুট হচ্ছে। পদ্মা সেতু ১০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট। আর চলে গেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। তারা বলছে এখন পানির তলে থৈ পাওয়া যাচ্ছে না। এটা লুট করার জন্য করেছে।‘

সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রংপুরে কিছু করেননি-এমন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে একজোট হয়ে তাদের সাথে নিয়ে কাজ করছেন।’