ভোলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদী জেলে নৌকা শূন্য

জেলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর অভায়শ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য শিকার নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে নদীতে কোন জেলে নৌকা দেখা যায়নি। মেঘনা ও তেতুঁলিয়ার বুক রয়েছে মাছ ধরার জাল ও নৌকা শূন্য। ইলিশসহ সকল মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে মার্চ-এপ্রিল মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর ১’শ ৯০ কিলোমিটার এলাকার দুটি অভায়শ্রমে সর্ব প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এছাড়া জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকা ৮৯ হাজার ৪’শ ১০ জেলে পরিবার ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের মাসের জন্য ৪০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল পাচ্ছে।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে জেলার তুলাতুলি মাছ ঘাট, কোরার হাট, ভোলার খাল, ইলিশার মাছ ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখা গেছে নদীতে কোন জেলে নৌকা নেই। মাছ ঘাটগুলোতে বিরাজ করছে সুনসান নীরাবতা। বন্ধ রয়েছে মাছের আড়ৎগুলো। একদিন আগেও জেলে ও পইকারদের হাক-ডাকে মুখরিত ছিলো এসব ঘাট। জেলেরা ঘাটে বসে জাল ও নৌকা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছে। আবার কেউ কেউ মেতে উঠেছেন গল্প আর আড্ডায়।
সদরের মেঘনা পাড়ের তুলাতুলি এলাকার জেলে আব্দুর রব, লিয়াকত হোসেন, ফিরোজ আলী ও আসমত মাঝি বলেন, সরকারি আইন মান্য করে নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত রয়েছেন তারা। শুধু তারা নন, এ এলাকার কোন জেলেই নদীতে যায়নি। কারণ অভায়শ্রম মৌসুম সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে নদীতে মাছ আরো বাড়বে। জেলেরাই তাতে বেশি লাভবান হবেন। জেলে ইব্রাহীব ও ছিদ্দিকউল্লাহ বলেন, জেলেরা এখন পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে নদীতে ইলিশসহ অনান্য মাছের প্রাপ্তি বাড়ছে। এটা সম্ভব হচ্ছে নদীতে বিভিন্ন অভিযান সফল হওয়াতে।
সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: জামাল হোসেন বাসস’কে জানান, নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী জেলে শুন্য রয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত কোন জেলে আটক হয়নি। জেলেরা আইন মান্য করে মাছ ধরা থেকে বিরত রয়েছে। একইসাথে কোষ্টগার্ড ও নৌ পুলিশ নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে নদীতে অভিযান পরিচালনা করছে।
মৎস্য অফিস জানায়, মার্চ-এপ্রিল এ দুই মাস ইলিশ অভায়শ্রমে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা গেলে দেশে ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন টেকসই হবে। আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে।