ভোলায় মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে ৬০৬ জেলের জেল-জরিমানা

জেলায় মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধ্াজ্ঞকালীন সময়ে ৬’শ ৬ জেলের জেল-জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩’শ ৮৫ জেলের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও ২’শ ২১ জেলের ১০ লাখ ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মোট ৩’শ ৫৫টি অভিযান ও ১’শ ৭৯টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যেমে এসব দন্ড প্রদান করা হয়। নির্ধারিত সময়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৬ লাখ ২১ হাজার মিটার জাল উদ্ধার করা হয়। যা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। মৎস্য বিভাগের আয়োজনে কোষ্টগার্ড, নৌ-বাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন এসব অভিযান পরিচালনা করে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজাহারুল ইসলাম বাসস’কে বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। একে রক্ষা করতে অন্যান্য যেকোন সময়ের চেয়ে সকলের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতায় এ বছরের অভিযান অনেকটাই সফল হয়েছে। সরকারের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ফলে নদীতে জেলেদের উপস্থিতি কম ছিলো। তারপরেও যারা নদীতে নেমেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ২২ দিনের অভিযানে মোট ৩৪৯ টি মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া এ সময়ে বেশকিছু মাছ ধরার নৌকা-ট্রলার জব্দ করা হয়। যা পরবর্তীতে নিলামে তুলে ৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা বিক্রয় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। আর ইলিশ জব্দ করা হয় প্রায় ২ হাজার কেজি। যা অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এবারের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম হবে বলে আশা করেন জেলার প্রধান এ মৎস্য কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসম নির্বিঘ্ন করার জন্য সরকার ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ শিকার, পরিবহন, বিক্রি, প্রদর্শন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছে। আইন অমান্য করলে কমপক্ষে ১ বছর হতে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারান্ড অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। গত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এ নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়।