ভোলায় ৩৪টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণ

জেলায় কৃষি যান্ত্রিকীরণের লক্ষ্যে ৩৪টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণ কার্যক্রম চলছে। একইসাথে ৩টি রিপার ও ১টি রাইস ট্রান্স প্লান্টার যন্ত্র বিতরণ করা হবে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ৭০ ভাগ ভুর্তকী মূল্যে এসব কৃষি যন্ত্র কৃষকদের মধ্যে তুলে দেয়া হচ্ছে।
এই প্রকল্পে সরকার ভুর্তকী দিচ্ছে প্রায় ৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা এবং কৃষক দিচ্ছে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র আজ দপুরে বাসস’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কৃষি অফিস জানায়, বরাদ্দকৃত কৃষি যন্ত্রের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ টা কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ও ২ টি রিপার বরাদ্দ এসেছে। দৌলতখানে ৭ টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার, বোরহানউদ্দিনে ৭টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার, তজুমদ্দিনে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ৩টি ও রাইস ট্রান্স প্লান্টার ১টি, লালমোহনে ৩টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও ১টি রিপার মেশিন, চরফ্যাসনে ৫টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও মনপুরায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ৩টি বরাদ্দ এসেছে।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বাসস’কে জানান, বরাদ্দকৃত কৃষি যন্ত্রের মধ্যে সদর উপজেলায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণ হয়েছে ৪টি, দৌলতখানে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ৪টি, বোরহানউদ্দিনে ৫টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার, লালমোহনে ও মনপুরায় ২টি করে মোট ৪টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। গত ৭ এপ্রিল এসব কৃষি যন্ত্র বিতরণ শুরু হয়ে আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে সমাপ্ত হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক আবু মো. এনায়েতউল্লাহ বাসস’কে বলেন, মূলত ধান, গম, ভুট্টা ঝাড়াই, মাড়াই ও কাটা হয় এই কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনে। এছাড়া রিপার মেশিনে ধান মাড়াই ও রাইস ট্রান্স প্লান্টারে চারা রোপন করার কাজে ব্যবহার করা হয়। কম্বাইন্ড হারভেস্টার এর মাধ্যমে ঘন্টায় এক একর জমির ধান কাটা যায়। এতে খরচ হয় সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। আর শ্রমিক দিয়ে এক একর জমির ধান কাটতে খরচ হয় ১০ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, কৃষিকে আধুনিকায়ন করার জন্যই সরকার ভুর্তকী মূল্যে এসব যন্ত্র দিচ্ছে। ফলে ধান কাটতে বা ঝাড়াই, মাড়াই অথবা রোপন করতে কৃষি শ্রমিক সংকটের সমস্যা আর থাকছেনা। যন্ত্রের মাধ্যমেই অল্প সময়ে কম খরচে অধিক জমির ধান কাটা বা রোপন সহজ হবে।
এদিকে সরকারিভাবে ৭০ ভাগ ভুর্তকী মূল্যে এসব কৃষি যন্ত্র বিতরণে আনন্দ প্রকাশ করেছে কৃষকরা। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে শ্রমিক সংকট দূর হবে এবং সমৃদ্ধ হবে কৃষি শিল্প।