ভ্যাট আইন পাশ হলেও বাস্তবায়ন হবে না:শফিউল

নতুন ভ্যাট আইন-২০১২ পাশ হলেও, নতুন অর্থবছরের (২০১৭-১৮) জুলাই থেকে তা বাস্তাবায়ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

গতকাল সোমবার,৮ মে রাতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে নির্বাচনী সভায় প্যানেল সদস্যদের পরিচয় পর্বের বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। আসন্ন এফবিসিসিআই নির্বাচন ২০১৭-১৯ উপলক্ষ্যে এ সভার আয়েজন করে মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন নেতৃত্বাধীন ‘সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদ’।

শফিউল ইসলাম বলেন, নতুন ভ্যাট আইন ব্যবসায়ীদের সামনে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা ব্যবসায়ীদের উপর এ আইন চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন, তারা ভালো করেন নাই। এর সঙ্গে আইএমএফ থাকুক আর যেই থাকুক, এ আইন পাশ হলেও বাস্তবায়ন হতে পারবে না।

তিনি বলেন, যদি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হয় তাহলে তারা সোনার বাংলা উপর দেবে। ব্যবসায়ীরা কোন প্রতিষ্ঠানের মুখোমুখি দাঁড়াতে চায় না। তারা একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে চায়। রাজনীতিবিদ, আমলা, সরকার এবং ব্যবসায়ী এরা কেউই আলাদা নয়। সবাই একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই। তাই আমাদের রাস্তায় কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি আশ্বাস দিতে চাই, প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, যদি আইনটা হয়ও, আমাদের যে সমস্যা রয়েছে, তা সামাধান করা হবে।

অনুষ্ঠানে মুক্ত আলচানায় অংশগ্রহণ করেন সংগঠনটির সাবেক চারজন সহ-সভাপতিসহ ১৪ জন ব্যবসায়ী নেতা। প্রায় সবাই নির্বাচনী বক্তব্যের সঙ্গে ভ্যাট সমস্যা সমাধানের জন্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের আহ্বান জানান। ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, এফবিসিসিআইয়ের নেতা নির্বাচিত হয়ে আপনারা সরকারের মুখপাত্র হবেন না। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করার মতো নেতার দরকার। যিনি কাজ করবেন দেশর অর্থনীতি ও ব্যবসায়ীদের জন্য।

এর আগে রাত ৮ টা ২০ মিনিটে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠান চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। মুক্ত আলোচনা শেষে প্যানেল প্রধান শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন তার এসোসিয়েশন প্যানেলের ১৮ জন প্রার্থীকে সাধারণ সদস্যদের মাঝে পরিচয় করিয়ে দেন। সবাইকে তাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত কারার আহ্বান জানান।

সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদের পরিচালক প্রার্থীরা হলেন, খন্দকার মঈনুর রহমান জুয়েল, মো. আনোয়ার হোসেন, নিজামউদ্দিন রাজেশ, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, আমজাদ হোসেন, আব্দুল হক, শাফকাত হায়দার, মো. শফকুল ইসলাম ভরসা, হাফেজ হাজী হারুনুর রশিদ, মো. আবুল আয়েস খান, আবু মোতালেব, শমী কায়সার, মো. মুস্তাকিম আশরাফ, মো. হাবিব উল্ল্যাহ ডন, মো. আবু নাসের, মীর নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, খন্দকার রুহল আমিন এবং রাশেদুল হোসেন চৌধুরী।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/৯ মে,২০১৭