মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের কাওরান বাজার অংশ খুলছে আজ

আজ রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের কাওরান বাজার অংশের উদ্বোধন করা হবে। স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সকাল ১০টায় এই ফ্লাইওভারের ৪৫০ মিটারের কাওরান বাজার অংশের উদ্বোধন করবেন। পরে তা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

প্রকল্পের পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল বাসসকে জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ সরকার এবং সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) ও ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএপআইডি)র যৌথ অর্থায়নে ফ্লাইওভারটির প্রতি মিটার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ২০১১ সালের ৮ মার্চ একনেকের সভায় ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং পরে ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি একনেকের সভায় ১২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় জানুয়ারি’ ২০১১ হতে জুন’ ২০১৭ পর্যন্ত মেয়াদে এই প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ফ্লাইওভারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের সামনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে নির্মিত মগবাজার- মৌচাক ফ্লাইওভারের কাওরান বাজার অংশের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার ঢাকা শহরের স্ট্রাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানে (এসটিপি) অন্তর্ভূক্ত একটি প্রকল্প। দ্রুত বাস্তবায়নের সুবিধার্থে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পটিকে ৩টি প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে সোনারগাঁও লেভেল ক্রসিং হয়ে মগবাজার হলিফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত প্যাকেজ ডব্লিও জিরো ৪, শান্তিনগর থেকে মালিবাগ, রাজারবাগ, মৌচাক হয়ে রামপুরা পর্যন্ত প্যাকেজ ডব্লিও জিরো ৫ এবং বাংলামটর থেকে মগবাজার হয়ে মৌচাক পর্যন্ত প্যাকেজ ডব্লিও জিরো ৬ হিসেবে দেখানো হয়েছে। প্রকল্পটি ৩টি রেলক্রসিং, যথাঃ সোনারগাঁও, মগবাজার ও মালিবাগ রেলক্রসিং এবং ৮টি মোড় (সাতরাস্তা, এফডিসি, মগবাজার, ওয়ারলেস গেইট, মৌচাক, মালিবাগ, রামপুরা ও শান্তিনগর মোড়) অতিক্রম করেছে। ৪ লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভারটির সোনারগাঁও রেলক্রসিংয়ের জন্য ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়ে মোট দৈর্ঘ্য হয়েছে ৮৭০০ মিটার। লেভেল ক্রসিং এ সর্বনিম্ন হেডরুম ৭ দশমিক ২ মিটার এবং সড়কে ৫ দশমিক ৫ মিটার রাখা হয়েছে। উঠানামার জন্য মোট ১৫টি রেম্প আছে। অধিক মাত্রার ভূমিকম্পন সহনীয় করার জন্য ফ্লাইওভারটিতে পট বিয়ারিং এবং শুক ট্রান্সমিশন ইউনিট (এসটিইউ) সংযোজন করা হয়েছে। ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়েছে সড়কের মিডিয়ান বরাবর স্থাপিত কলামের উপর এবং পাইলি কেপ রাখা হয়েছে নীচের সড়কের সমতলে, ফলে নীচের সড়কের ধারণ ক্ষমতা পূর্বের মতই থাকবে।

প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, রামপুরা, মগবাজার, এফডিসি ও বেগুনবাড়ী এলাকার ভয়াবহ যানজট হ্রাস পাবে, সাশ্রয় হবে জ্বালানি ব্যয় ও নগরবাসীর মূল্যবান সময়।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/১৬ মে ২০১৭