মহৎ কাজের জন্য আপনারা অবশ্যই পুরস্কৃত হবেন: মাহমুদুল্লাহ

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের আতঙ্কিত দেশের মানুষ। তাদের সচেতন করতে সর্বদা সহায়তা করছে চিকিৎসক-নার্স-সেচ্ছাসেবীকর্মী-আইন শৃঙ্খলবাহিনী। জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের অভিমত তুলে ধরছেন। সাহস ও দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন মাশরাফি-সাকিব-মুশফিক-তামিমদের মত তারকারা। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পঞ্চপান্ডবের আরেকজন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিকিৎসক-নার্সসহ যারা এই করোনাভাইরাসের বিপক্ষে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত তাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন।

আজ দুপুরে ফেসবুকে ৩ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজের অভিমত তুলে ধরেছেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আশা করছি সবাই বাসায় আছেন, সুস্থ আছেন, নিরাপদে আছেন। একটা বিষয় হঠাৎ করে মাথায় আসলো, তাই ভাবলাম এ বার্তাটা আপনাদের দেই। গতকাল (শুক্রবার) রাতে বিষয়টি মাথায় এসেছিল। হয়তো এভাবে অনেকেই চিন্তা করেছেন। আমরা কয়েকদিন ধরেই বাসায় বসে আছি। বাসার নিত্যদিনের কাজগুলো করছি। গাছে পানি দিচ্ছি। বই পড়ছি। ব্যায়াম করছি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছি। এ সব কাজগুলোর মাঝে যেহেতু আমরা কয়েকদিন বাসায় আছি, আমাদের ভেতরে হয়তো একুট অবসাদ চলে আসতে পারে। একটু বোরিং ফিল হতে পারে। এতে মাথায় আসতে পারে একটু বাসার নিচে যাই। কয়েকজনের সঙ্গে একটু কথা বলি বা বাসার সামনের মোড় থেকে একটু হেঁটে আসি। যদি কারও মাথায় কিংবা মনে এরকম চিন্তাধারা উঁকি দিয়ে থাকে, সেগুলোও যেন আমরা মাথা থেকে ঝেরে ফেলি। কারণ এ মুহূর্তে বাসায় থাকাটাই নিরাপদ। এটা সময়ের দাবি। এই নিয়মটা যেন আমরা মেনে চলি। এটা যতটুকু আমার জন্য প্রযোজ্য ঠিক আমাদের পরিবারের সদস্যদের জন্যও প্রযোজ্য। আবার অন্যদের এবং তাদের পরিবারের জন্যও প্রযোজ্য। নিজে নিরাপদে থাকি এবং অন্যদের নিরাপদে রাখার চেষ্টা করি।

সবাই তো জানি যে আমাদের হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া যেন ঘর থেকে বের না হই। যদি বের হই তাহলে যেন মাস্ক ব্যবহার করি। সর্দি, কাঁশির সময় যেন আমরা বাহু ব্যবহার করি ও টিস্যু ব্যবহার করতে পারি। এই সমস্ত নিয়মগুলো যেন আমরা মেনে চলি। এখন সময়ের দাবি আমরা যেন সবাই বাসাই থাকি। এটা সবার জন্য মঙ্গলজনক। আর একটা বিষয় না বললেই নয়, আমাদের ডাক্তার, আমাদের নার্সরা এবং যারা চিকিৎসা সেবায় এই মূর্হুতে নিয়োজিত আছেন তাদের সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইনশাল্লাহ এ দুঃসময়ে কোভিড-১৯এর মত এই দুরারগ্য রোগের সময় আপনারা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, যেভাবে দেশকে সেবা দিচ্ছেন সেজন্য মন থেকে আপনাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং আমি বিশ্বাস করি এ মহৎ কাজের জন্য আপনারা অবশ্যই পুরস্কৃত হবেন। আর একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, যেটা এখন আমাদের বেশি পোড়াচ্ছে, সেটা হচ্ছে যারা শ্রমজীবি মানুষ আছেন, যারা এখন এ মুহূর্তে হয়তোবা বেকার হয়ে পড়ছে। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোটা অনেক বেশি জরুরী হয়ে পড়ছে। তো আমরা চেষ্টা করবো যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার। তাঁদেরকে সাহায্য করার। এই বিষয়গুলো আমরা কিছুদিন মেনে চলি। সবাই নিজেদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একত্রে মিলে কাজ করি। ইনশাআল্লাহ, আমরা এ কঠিন সময় পার করবো এবং ভালো সময় আমাদের থেকে খুব বেশি দূরে নয়, এটা আমি বিশ্বাস করি। সবাই একত্রে মিলে চেষ্টা করি, দেশকে সবাই মিলে ভালো কিছু দেয়ার চেষ্টা করি। সবাই ভালো থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।’ তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান